লেখক: দেবিকা রানী হালদার
আজ শিক্ষক দিবস। শিক্ষক ছিলেন একদিন বাবা, বাবার তুল্য বললে ভুল হবে। বাবা-মা জন্ম দাতা টিক ই কিন্ত মানুষ করার কারিগরি শিক্ষকের হাতে। এই শিক্ষক একদিন ছিলেন শত শ্রদ্ধাভাজন। তার হাতের বেত্রাঘাতে কতো ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার ব্যারিষ্টার সচিব তৈরি হয়েছে তা লেখাজোখা নাই। আজ যতো আমলা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার দেখেন তার পিছনে ছিলো এই শিক্ষক, তিনি বাবার দায়িত্ব পালন করে বাশ কেটে বাঁশি বানিয়ে দিয়েছেন। মাসিক বেতন পেয়ে কেউ কি কখনও কোন শিক্ষকের হাতে তুলে দিতে শুনেছেন? সেই পর্ণ কুঠিরে আজীবন ঠিকানা।
আজকের শিক্ষক কেউ কোটি পতি, কেউ ভিলেন অতি। নুসরাত কে কেরাসিন ঢেলে পোড়ায় যিনি মেরেছিলেন তিনি তার ই অধ্যাক্ষ যিনি লেডি কিলার ছিলেন। নুসরাতকে একই প্রস্তাব দিলে নুসরাত তা ঘৃণা ভরে প্রত্যাখান করে।
শিক্ষক পিছু ছাড়েন না। তার শিকার অন্য কুচরিত্রের মেয়েগুলো ও পিছে লাগে, নুসরাত থানায় ডাইরি করে। এইসব কলেজ মাদ্রাসার ক্যাশ মারা শিক্ষকের টাকার অভাব নাই। তার প্রভাবে পুলিশ বিক্রি হয়ে যায়। নুসরাত কে মামলা তোলার চাপ দিতে থাকে, অনঢ় নুসরাত।
একদিন নুসরাতের ক্লাস মেট যারা অধ্যাক্ষের বিছানার পার্টনার অহরহ তারা পরিকল্পনা মতো নুসরাত কে চার তলা মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নেয়, সহজ সরল নুসরাত ছাদে যেয়ে শিক্ষক সহ অনেককে দেখে অনুমান করে তার জীবনের ভয়াবহতা। তখন ও তাকে বিছানায় সঙ্গ দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয় কিন্তু নুসরাত জীবন বিপন্ন জেনেও আগের মতো “না” উত্তরে অটল থাকে। চোখের ঈঙ্গিতে তার ই মেয়ে বান্ধবীরা তার গলায় ওড়না জড়ায় কাত করে ফেলে, অন্যরা আগেই এনে রাখা পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরায় দেয়। শেষ হয়ে যায় একজন নুসরাত।
আজকের এই শিক্ষক দিবসে আমি ধিক্কার জানাই ঐসব শিক্ষকদের যারা হায়ানার মতো যৌন লালসায় জ্বলে তার মেয়ে সম ছাত্রী কে দেখে।
আজ শিক্ষক দিবসে সব শিক্ষকের নিজ চরিত্র সংশোধনের আহ্বান করছে একজন ক্ষুদ্র লেখক। শিক্ষক এখন আর ভাতে মরে না তবে তার চরিত্র শিক্ষক স্বরূপ অন্বেষণে নতুন করে আজ ভাবনা দিবস!