লেখকঃ- ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
১৯৯৬/৯৭ সাল একটা মাত্র টিভি চ্যানেল BTV থেকে উত্তরন ঘটে স্যাটেলাইট টিভির! সন্মানিত সিনিয়র সাংবাদিক “মূসা স্যার” একটা টিভি চ্যানেলের আবেদন করে পেলেন না! বিবেচনা করা হলো দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে তথা টাকার মানদণ্ডে! মূসা স্যার প্রগতিশীল কিন্তু দল অন্ধ ছিলেন না!
প্রিয় পাঠক, সাংবাদিক মূসা সংবাদ জগতের একটা উজ্জ্বল নক্ষত্র! দেশ স্বাধীন হলে “বঙ্গবন্ধু” দেশে ফিরে মূসা স্যার কে ডেকে বলেছিলেন, “মূসা তোকে, দেশের সংবাদপত্র ও রেডিও টেলিভিশন চালানোর দায়িত্ব দিলাম। নিরপেক্ষ বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিক তুমি ছিলে তা বজায় রেখো!” মূসা স্যার ক্ষমতার লোভী ছিলেন না! তিনি সাথে সাথে ঝাপিয়ে পড়েন নাই বরং বলেছিলেন, “আমি তো সারাজীবন কলম পিষে প্রিন্টিং মিডিয়ায় জড়িত ছিলাম ইলেকট্রনিকস মিডিয়া কিভাবে চালাবো, কোন অভিজ্ঞতা তো নাই!” তাকে মুজিব দায়িত্ব দিয়ে বলেছিলেন, “আমি সাথে আছি”। তাকে মালয়েশিয়া থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আনা হয়েছিলো! এবং দায়িত্ব তিনি সততার সাথে পালন করেছিলেন!
ইনি সেই সাংবাদিক মূসা যিনি ১৯৭৫ সালে মুজিব হত্যার পর আমেরিকা যেয়ে “জন এফ কেনেডির” সাক্ষাৎ কার নিয়েছিলেন, নতুন দেশটার প্রতি মার্কিন দৃষ্টি ভঙ্গি পরিবর্তন হবে কি-না?
সেই মূসা স্যার “হাসিনা প্রশাসনের” টিভি চ্যানেল “সিলেকশন বোর্ডের” বিবেচনায় একটা চ্যানেল পেলেন না! সাংবাদিকতার পথিকৃৎ এবিএম মূসা স্যার ২০১৪ সালে ইন্তেকাল করেন!
মানুষ মরণশীল, আমি ও চলে যাবো। ইচ্ছে হয় এ প্রজন্মের অনেক অজানা ইতিহাস যা আমার জানা তা প্রকাশ করে যেতে, কিন্তু এদেশের সব কিছু দলীয়, রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত নয়, সত্যি সবাই ছাপতে কুন্ঠা বোধ করে! সত্যি বলা মানে শত্রু সৃষ্টি করা!
আজ বাংলাদেশে প্রায় ৩৫ টা টিভি চ্যানেল, আরো গোটা ১০ চ্যানেল প্রচারের অপেক্ষায় কিন্তু “মূসা স্যার” যাকে “জাতির জনক” যোগ্য মনে করতেন তাকে পরবর্তী শাসকরা অযোগ্য মনে করলেন! যদি বলি একেই বলে I Q , যোগ্য অযোগ্য মাপার সেই লেভেল জ্ঞান আপনার আমার নাই! এজন্য আমি নিজেই কারো দৃষ্টি তে “রাজাকার” কারো দৃষ্টিতে কমিউনিস্ট, নাস্তিক বা কারো দৃষ্টিতে পক্ষপাত দুষ্ট লেখক! কেউ লেখা পড়ে ধন্যবাদ দেয় কেউ চৌদ্দ পুরুষ উদ্ধার করে! কারন সত্যি সহ্য করার কোন মানুষ নাই, ধোঁকা ভন্ডামি পক্ষে গেলে “মারহাবা” বিপক্ষে গেলে “মার খাবা!”
ভালো থাকেন সুস্হ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন। নিজ ধর্ম অন্তরে লালন করেন!