শাহীদুল ইসলাম কালু,স্টাফ রিপোর্টারঃ
শেরপুরে একাডেমিক ভবন নির্মাণের এক দফা দাবিতে ৭ অক্টোবর সোমবার সকাল ১০টায় শেরপুর জেলা শহরের নিউমার্কেট মোড়ে শেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে দফা এক দাবি এক এবং নির্ধারিত স্থানে বিল্ডিং চাই এমন স্লোগানে শিক্ষার্থীরা শেরপুর জেলা শহরের প্রধান সড়ক নিউমার্কেট মোড় সড়কটিতে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা ওই সড়ক অবরোধ করে রাখে।
এছাড়াও বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, তারা তাদের দাবি নিয়ে ৬ অক্টোবর রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যায়। এসময় জেলা প্রশাসক একাডেমিক ভবন নির্মাণে সরকারি নিয়ম অনুসরণ না হওয়ায় বলে জানায়। পরে তারা তাদের একাডেমিক ভবন নির্মাণের দাবিতে সোমবার সকালে পুনরায় বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ মানি না মানবো না সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়। এসময় শিক্ষার্থীরা আরো জানায়, তাদের কলেজ প্রাঙ্গণের ভিতরে একাডেমিক ভবন নির্মাণ করতে না দিলে আগামীকালে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের বাস ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবে।
এসময় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শেরপুর সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রিমি, অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারমিনা, মিমি, শারমিন প্রমুখ।
এব্যাপারে শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ আ.জ.ম রেজাউল করিম খাঁনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, বি.আর.এস সরকারি অর্পিত সম্পত্তি হলেও মহিলা কলেজ ওই জমি ভোগদখল করে আসছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কক্ষের সংকুলান না হওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ ও ব্যয়ে এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ৬ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য সয়েল টেস্ট করা হয়েছে।
অপরদিকে জেলা প্রশসাক তরফদার মাহমুদুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, সরকারি অর্পিত সম্পত্তিতে কোন ভবন নির্মাণ করতে হলে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ এবং অনুমোদনের বিষয় রয়েছে এবং সরকারি নিয়মরিতি অনুসরণ করেই বিল্ডিং নির্মাণ করতে হবে। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কিভাবে একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজ করবে এটা তাদের বিষয় বলে তিনি এমনটাই বলেন।