শাহীদুল ইসলাম কালু, স্টাফ রিপোর্টার:
শেরপুরে ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বন্যার পানিতে ভেসে আসা মাছ মারার হিড়িক পড়েছে বন্যাকবলিত এলাকায়। এইসব এলাকায় মাছ কিনতে ও দেখতে নানান জাইগা থেকে আসা বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ ভীড় জামাচ্ছে। এতে মাছ বিক্রেতারা ভালো দাম পাওয়ায় আনন্দিত হচ্ছেন অন্যদিকে ক্রেতারাও সস্তা দামে মাছ কিনে খুশি হচ্ছেন।
জানা গেছে, শেরপুর শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী অভিমুখে কয়রোড, জুলগাঁও মোড় সহ বিভিন্ন স্থানে বন্যা এবং পাহাড়ি ঢলে ভেসে আসা মাছের হাট বসছে। আর এইসব স্থান সৌখিন মাছ ক্রেতা বিক্রেতাদের জন্য খুবই জনপ্রিয়। শেরপুর শহর এবং জামালপুর শহর থেকে কেউ বাইকে, কেউ প্রাইভেটকারে, সিএনজিতে ও আবার কেউ রিকশায় করে আসেন পাহাড়ি ঢলে ভেসে যাওয়া বন্যার পানি দেখতে। বন্যার পানি দেখতে আসা এই মানুষ গুলোই সখের বসে আবার অনেকে প্রয়োজনের খাতিরে কিন নিয়ে যান এখানকার সুস্বাদু মাছ গুলো। এখানে শিং, মাগুর, পুটি, বৌমা মাছ, গতা, বাম এবং বিভিন্ন মাছের ঘের থেকে ভেসে যাওয়া রুই, কাতলা, কারফু, পাংখাশ সহ দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন ধরনের মাছ বিক্রি হয় এই কয়ে রোড তিন রাস্তার মোড়ের এই হাঁটটিতে।
মাছ বিক্রেতারা বলেন, আমরা অনেকে আনন্দে আবার অনেকে জীবিকার তাগিদে বন্যার পানিতে ভেসে আসা মাছ গুলো জাল দিয়ে ধরে থাকি।
একজন মাছ বিক্রেতা শফিকুল আলম বলেন, এই স্থানটিতে বন্যার পানি আসলেই প্রত্যেকদিন কয়েক লাখ টাকার মাছ আমরা বিক্রি করতে পারি। এখানে মাছ বিক্রি করে আমরা যে টাকা পাই সেটা দিয়ে আমাদের সংসারের অনেক প্রয়োজনে আসে।
অন্যদিকে মাছ ক্রেতারা বলছেন, এখানে যে মাছগুলো পাওয়া যায় সবই দেশীয় প্রজাতির। এগুলো শহরে কিনতে গেলে অনেক টাকা লাগে কিন্তু এখানে এসে আমরা সস্তায় মাছ কিনে নিয়ে যেতে পারি।
একজন শিক্ষক রানা আহাম্মেদ বলেন, আমি পাহাড়ি ঢলের বন্যার পানি দেখতে এসেছি এখানে। পানি দেখতে এসে আমি হতবাক। এখানে যেভাবে মাছ বিক্রি হচ্ছে তাতে আমার কাছে খুবই আনন্দ লেগেছে। কারণ এখানে হাজার হাজার মানুষ আসছে এবং স্বাচ্ছন্দে তারা মাছ কিনে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছে। এখানে তিনশো থেকে শুরু করে পনেরশো টাকা কেজি পর্যন্ত দামে মাছ বিক্রি হচ্ছে। এই মাছগুলো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।