স্টাফ রিপোর্টার:
গাজীপুরের শ্রীপুরে ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির কে বাজার থেকে ডেকে নিয়ে ১৪ লাখ টাকা দাবি করেন বিএনপির নেতা গনি মৈশাল, গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নতুন বাজারে এ ঘটনা ঘটে!
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী হুমায়ূন কবির জানান ১ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ সকাল আনুমানিক ১০ টার দিকে গাজীপুর বাজারের দক্ষিণে বসে ছিলাম ঠিক তখনি বিল্লাল নামে একজন ফোন দিয়ে বলেন গনি মৈশাল আপনাকে ডাকে ঠিক তখনি আমি গণি মশাইলকে ফোন দেই গণি মৈশাল একটু রাগান্বিত স্বরে বলেন তাড়াতাড়ি অফিসে আসো দরকার আছে পরে উনার অফিসে গেলাম যাওয়ার পর সরাসরি বলেন তুমারে ১৪ লাখ টাকা দিতে হবে আমি বললাম কেন দিবো কেউ কি আমার কাছে পাবে নাকি আপনি পাবেন !
তিনি বলেন পুলাপাইন আছে মেনেজ করতে হয় দিতে হবে কথা না বাড়িয়ে আজকের দিনের ভিতরে বিল্লালের কাছে টাকা দিবি,ঘন্টা খানেক কথা কাটাকাটির পর আমি কথা না বাড়িয়ে চলে আসলাম , সারাদিন না যেতেই সন্ধ্যার পর গাজীপুর ইউনিয়নের নতুন বাজারের দক্ষিণ হতে নজরুল ইব্রাহিম আমিনুল এসে আমাকে গণি মশাইলের অফিসের উদ্দেশ্যে নিয়ে যান,মোটর সাইকেল করে, আমাকে মাঝখানে আর নজরুল পিছনে বসছে ,বাজারে যেয়ে গণি মশাইলের অফিসের সামনে দাঁড় করায় পরে জোরজবস্তি করে জামালের পিতা আগে যে রুমে বসবাস করতেন সে রুমে নিয়ে যান, এবং দড়জা আটকিয়ে বলেন কোথায় আনছি জানস তোরে আয়না ঘরে আনছি,দেখ কি কি আছে , বললাম দেখান কি আছে দেখলাম দা ,লাঠি, হকি-স্টিক,দেশীয় অস্ত্র সহ অনেক কিছু! তারপর আমাকে মানুষিক ও শারীরিক অনেক হেনস্তা করেছে ,এক পর্যায়ে বলতেছে টাকা দেন ,আমি বলি টাকা নাই,বলে চেক দে বললাম চেক ও নাই,পরে বলে তাহলে স্ট্যাম্পে লিখিত দে পরে বললাম এত টাকা চেক কেউ কি সাথে নিয়ে ঘুরে ,আমাকে বলে গণি মশাইলের কাছে নিয়ে যাবে ,তাছাড়া টাকা নিতে হলে তো বাজারে যেতে হবে তারা রাজি হলো বাজারে এসে দেখি সবুজ , মাহবুব, নূরে আলম মেম্বার উপস্থিত ছিলেন তাদের সব বলার পর তারা আমাকে রক্ষা করেন ,পরে তারা দৌড়ে পালিয়ে যান। আমি স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের কে জানিয়ে সকলের পরামর্শে আমি শ্রীপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেছি,আমার দাবি আমি যেনো সুস্থভাবে কাজ করে চলাফেরা করতে পারি সেই ব্যবস্থা করে দেন,আমি যেনো ন্যায় বিচার পায় ।
ভুক্তভোগী শ্রীপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন, অভিযোগে বিবাদীগণ হলেন গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের মৃত আফির উদ্দিন মৈশালের সন্তান গনি মৈশাল,
একই গ্রামের মৃত ইমান আলীর সন্তান বিল্লাল হোসেন ও আমিনুল ইসলাম,একই গ্রামের মৃত রজব আলীর সন্তান জামাল উদ্দিন, ইব্রাহিম পিতা অজ্ঞাত,নজরুল ইসলাম পিতা অজ্ঞাত।
বিবাদী গনি মৈশাল ও বিল্লাল হোসেন এবং বিবাদীগণের বাড়িতে ও একাধিক বার ফোনে তথ্য যাচাই করনের জনা পাওয়া যায় নি।
শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সোহেল রানা জানান অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।