সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি,জামালপুরঃ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি"র দু পক্ষের সংঘর্ষ ও পাটাপাল্টি বাড়ী ঘর ভাঙ্কচুর ও লোটপাটের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের মহাদান- সেঙ্গুয়া গ্রামে।
এলাকা সূত্রে ও সরজমিন ঘুরে জানা যায়, ২৯ আগষ্ট মহাদান ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড বিএনপি"র আয়োজনে বিএনপির সাবেক মহা সচীব মরহুম ব্যারিষ্টার আব্দুস সালাম তালুকদার এর ২৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে কুলখানির আয়োজন করা হয়। উপজেলা বিএনপি,র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নূরুল ইসলাম নূরীর পৃষ্টপোষকতায় আয়োজিত কুলখানী উপলক্ষে খেচূড়ি রান্নার কাজ চলমান। এ সংবাদে মহাদান ইউনিয়ন বিএনপি"র সাধারণ সম্পাদক লিটন মাষ্টারের নেতৃত্বে ১০০-১৫০ জনের স্বশস্ত্র বিপদগামী দল হামলা চালিয়ে মহাদন বটতলা বিলপাড়ে আয়োজিত কুলখানি পেন্ডেল ও খেচূড়ীর ৮/১০ ডেকসি ও দুই শতাধিক চেয়ার ভাঙ্কচুরসহ মিজানুর রহমানের বাড়ী ঘর ভাঙ্কচুর ও লোট পাট করে।নূরুল ইসলাম ও তার সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা করে। স্বশস্ত্র হামলায় আমজাদ ( ৫০) গুরুতর আহত হয়।তার ডান বাহু ধারালো অস্ত্রের আঘাতে প্রায় শেষ অবধি কেটে যায়। সামান্য অংশে চামড়ার সাথে ঝুলে থাকে। তাকে দ্রুত সরিষাবাড়ী হাসপাতালে নিয়ে গেলে জামালপুর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। জামালপুর হতে ময়মনসিংহ পরে ঢাকা পঙ্গঁু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা যায়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। হামলাকারীরা নুরুল ইসলাম নূরী কে বেদড়ক পেটায়। তার শরীরে বিভিন্ন অংশে থেঁতলে যায় ও নীলা ফোলা জখম হয়। এ ছাড়াও ৩/৪ জন মহিলাসহ অন্তত ২০ জন আহত হয় বলে জানা যায়। আহতরা স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করে। আঘাত প্রাপ্ত নূরুল ইসলামের পক্ষাশ্রিত লোকজন পাল্টা হামলা চালিয়ে লিটন মাষ্টারের সমর্থক ও মহাদান ইউনিয়ন বিএনপি নেতা বাবলু মিয়া বাবুর বাড়ী ঘরে হামলা চলিয়ে ব্যাপক ভাঙ্কচুর সহ লোটপাট করে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে নূরুল ইসলাম নূরী বলেন,আমরা ১নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে মরহুম ব্যারিষ্টার আব্দুস সালাম তালুকদারের কুলখানির আয়োজন করি। খবর পেয়ে লিটন মাষ্টারের নেতৃত্বে ১০০-১৫০ জন লোক আমাদের উপর হামলা চালায়। ওয়াদুদ মেম্বার ও জুয়েলের হাতে পিস্তল দেখেছি।অন্যদের হাতে লোহার রড পাইপ ও আম দা লাঠি সোটা দেখেছি। আমাদর পেন্ডেল ভাঙ্কচুর সহ রান্না করা খিচুড়ির ডেক নিয়ে যায়। হামলায় গুরুতর আহত আমজাদ ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধিন। আমাকে বেদড়ক পিটিয়েছে। আমার ছেলেকে সহ কয়েকজন মহিলাকেও ওরা পিটিয়েছে। অন্তত ২০ জনকে পিটিয়েছে ওরা। মিজানের বাড়ী ভাঙ্কচুর ও লোটপাট করেছে।
এ বিষয়ে মিকানুর রহমান বলেন,আমি ঢাকা ইউনি লিভার কোম্পানীতে চাকুরী করি। ছুটিতে বাড়ী আসি ক দিন আগে।বৃহস্পতিবার দুপুরে লিটন মাষ্টার,
ও এছাহাক মেম্বারের নেতৃত্বে এক দেড় শ লোক আমার বাড়ী ঘর ভাঙ্কচুর করে। নগদ টাকা ও স্বর্ণের গহনা লোটে নিয়ে যায়। অনেকের হাতে আম দা,রড ও পাইপ ছিল। শাহজাহান ও জুয়েলের হাতে পিস্তল ছিল।
এ বিষয়ে লিটন মাষ্টারের মুঠো ফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে বাবুর ভাতিঝা তারার ছেলে মমিনুল ইসলাম বলেন, নূরীর নেতৃত্ব শতাধিক লোকজন আমাদের বাড়ীতে হামলা করে ৪/৫ টি ঘর ভাঙ্কচুর করেছে। নগদ ১১ লক্ষ টাকা ও আড়াই ভরি স্বর্ণের অলংকার লোট করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপি"র সভাপতি মুঠোফোনে বলেন অনাকাঙ্খিত ঘটনা শুনেছি।বিষয়টি বসে মীমাংসা করা হবে।