মকবুল হোসেন, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি:
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় আলেম-ওলামা ও অন্যান্য ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের করণীয় শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়।
আজ ০৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন ময়মনসিংহের বিভাগীয় কার্যালয়ের আয়োজনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ময়মনসিংহের অডিটোরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে, সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে, ধর্মীয় মেলবন্ধন ও পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্প্রীতির পরিবেশ ধরে রাখতে সভায় বিভিন্নমুখী আলোচনা হয়। সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে জাতি, ধর্ম, নির্বিশেষে ময়মনসিংহের সকল শ্রেণীর নাগরিকের নিরাপত্তা ও শান্তি রক্ষার্থে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের ভূমিকা নিয়ে সভায় বক্তাগণ বিশেষভাবে আলোচনা করেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আজিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, যে যার জায়গা থেকে সঠিকভাবে ধর্মীয় আচারসমূহ পালন করলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে কোনো প্রশ্নেরই জায়গা থাকতো না। কোনো ধর্মই অন্য ধর্মের লোকের উপর নিপীড়ন করতে বলে না। মসজিদ, মন্দির পাহারা দিয়ে রাখার বিষয় নয়। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার পথ থেকে বিচ্যুতি ঘটলেই মন্দির, মসজিদ পাহারার মতো বিষয়গুলো আসে।
প্রধান অতিথি বলেন, যুগে যুগে সকল ধর্মে মহাপুরুষরা এসেছেন। সকল ধর্মের মূল বাণী কাছাকাছি। ধর্ম মানুষকে সম্প্রীতি, শান্তির কথা বলে। কোনো ধর্মই হত্যাকাণ্ড সমর্থন করে না। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে যেকোনো ধরনের পায়তারার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। আমরা সবাই যেন সে চেতনাকে ধরে রাখতে পারি। পরস্পরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ময়মনসিংহের পরিচালক মো. হাবেজ আহমেদ।
বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও সনাতন ধর্মীয় প্রতিনিধিগণ আলোচনা সভায় তাদের বক্তব্যে ধর্মীয় ব্যাপারে সংযমের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। ময়মনসিংহে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় আছে বলেই ময়মনসিংহে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয় না বলে সভায় উল্লেখ করা হয়।
আলোচনা সভায় আলেম-ওলামাগণ, বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দসহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।