মোঃ আবদুল্লাহ, বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
বাঙালি উৎসব পেলে বাঁচে। দুঃখ যতই থাকুক, হাসি- আনন্দে কাটাতে চায়। আর তাই এখানে বারো মাসে তেরো পর্বাণ। অন্যতম একটি নাম শারদীয় দুর্গোৎসব। বছর ঘুরে আবারও এসেছে সেই ক্ষণ। আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। এর পরই বেজে উঠবে ঢাক। কানে আসবে শঙ্খ ধ্বনি। শুরু হয়ে যাবে বহু বছেরর পুরনো উৎসব। অবশ্য তারও আগে প্রতিমা গড়া চাই। এখন চলছে সেই কাজ। কেউ কেউ ইতিমধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করে ফেলেছেন। আপন মনে পড়ে করে চলেছেন তারা।চলছে অন্যান্য প্রস্তুতিও। নতুন জামা- কাপড়ে সেজে বিভিন্ন মন্ডপে ঘুরে বেড়াবেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। নাচবেন, গাইবেন চলবে খাওয়া-দাওয়া, বেড়ানো। পূজার সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে প্রতিমা কারিগরদের ব্যস্ততা।দম নেওয়ারও ফুসরত নেই তাদের। পূজাকে ঘিরে উপজেলায় চলছে রাত দিন প্রতিমা তৈরির কাজ। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় এবার ৩৭ টি মন্দিরে দুর্গাপূজা পালিত হবে।
মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে আগামী ৯ অক্টোবর। ঐদিন ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে উৎসব শুরু হবে। ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীর দিন তারিখ মাথায় রেখেই চলছে প্রস্তুতি।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কারিগরেরা প্রিতমা তৈরিতে বস্ত সময় কাটাচ্ছেন। নিজের সন্তানের মতো অতি ভালোবাসায় তৈরি করা হচ্ছে দুর্গা। দিন দু’য়েক পর রং তুলির আচঁড় দেওয়া হবে। আবার কোনো কোনো প্রতিমা চলছে রঙের কাজ। এরপর কাপড় পড়ানো হবে।
প্রতিমা তৈরির কারিগর
স্বপন বলেন আগে প্রতিমা তৈরিতে খরচ কম হতো। এখন জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় দ্বিগুন হয়ে গেছে প্রতিমা তৈরীতে খরচ।