সিলেট প্রতিনিধি:
সিলেটে বেশ কয়েক জন পুলিশ কর্মর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী। ওই মামলা গুলো করা হয়েছে বেশি ভাগ অভিযোগ এনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপর গুলি করার প্রেক্ষিতে। এদিকে ছাত্রদল, বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিয়োগ,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় বিএনপি-ছাত্রদল-যুবদলের মিছিলে গুলি চালিয়ে ছিলেন একদল অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্য-কর্মকর্তা। তাদের সাথে গুলি চালিয়ে ছিলেন আওয়ামীলীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগ- স্বেচ্ছাসেবকলীগের েেনতাকর্মীরা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হলেও এখন অবধি কোনো পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে দাবী করছেন। এতে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে মামলার বাদীদের মধ্যে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতারপূর্বক বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর দাবি জানিয়েছেন মামলার বাদী ২১ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের আহ্বায়ক জুবেল আহমদ স্বপন ও ছাত্রদল নেতা সাজন আহমদ সাজু। বিশেষ করে মহানগর পুলিশের ডিবি’র উপ কমিশনার তাহিয়াত আহমদ চৌধুরী, সিআরটি প্রধান শাহরিয়ার আল মামুন, এসআই পলাশ চন্দ্র দাসসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তাকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি বাদীদের।
ছাত্রদল নেতা স্বপন ও সাজুর এমন দাবির বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে উপস্থাপন করেছেন সিলেট মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য উমেদুর রহমান উমেদ। মামলার বাদীরা চিকিৎসাধীন থাকায় তাদের পক্ষে উমেদ গণমাধ্যমকে জানান, ‘যাচাই-বাছাই করে পুলিশের কর্মকর্তা-সদস্যদের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু এখন অবধি এসব কর্মকর্তা-সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো রকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। কয়েক জনকে অন্যত্র বদলি করা হলেও গ্রেফতার করা হয়নি। ধারণা করছি তাদেরকে রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, জুবেল ও সাজনের শুভাকাঙ্খি, আত্মীয়-স্বজন, রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা চরম ভাবে ক্ষুব্ধ। তাদের সকলের দাবি, ‘অনতিবিলম্বে এসব অপরাধী ও সন্ত্রাসী পুলিশ কর্মকর্তাগণ এবং অন্যান্য আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করা হোক। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে। প্রাথমিকভাবে একটি মানববন্ধন আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে। পরে ধাপে ধাপে অন্যান্য কর্মসূচি দেওয়া হবে জানান বিএনপির নেতাকর্মীরা