মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন, লোহাগাড়া চট্টগ্রাম:
সৌদি প্রবাসী হিসাবে শুরুতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সক্রিয় ভুমিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডাক তোলেন লোহাগাড়া উপজেলার তিন প্রবাসী রেমিট্যান্সযোদ্বা।
স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা সরকারকে পতনের জন্য একের পর এক ফেসবুক লাইভে এসে প্রতিবাদ ও বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে জনসচেতনতা শুরু করেন সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রবাসী রেমিট্যান্সযোদ্বারা। তাদের মধ্যে অন্যতম লোহাগাড়া উপজেলার আমার বাংলাদেশ পার্টি লোহাগাড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ মুজাম্মেল হোছাইন, লোহাগাড়া প্রবাসী সমিতি সৌদি আরব এর সভাপতি মুহাম্মদ লোকমান হাকিম ও
লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক খলিল চৌধুরী।
একান্ত আলাপে লোহাগাড়া প্রবাসী সমিতি সৌদি আরব এর সভাপতি মুহাম্মদ লোকমান হাকিম মুঠোফোনে বলেন, সর্বপ্রথম যখন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয় সাথে সাথে আমরা প্রবাসী বাংলাদেশি হিসাবে আন্দোলনে পক্ষে সর্মথন জানিয়ে প্রতিবাদ শুরু করি এবং হাসিনা সরকারের অপরাধ, অপর্কম, দূর্নীতি ও বিভিন্ন বৈষম্যের পোস্ট দিয়ে প্রবাসীদের সংগঠিত করতে চেষ্টা করি। এদিকে প্রবাস থেকে আমরা প্রতিবাদ শুরু করি, অন্যদিকে খুনী হাসিনার দালালরা আমাদেরকে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ভাবে আমাদের হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে আমাদের নামে মামলা করতে লিষ্ট শুরু করে এবং প্রবাসী আওয়ামী লীগের দালাল নেতারা বাংলাদেশ থেকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও সাবেক এম পি মোতালেব এর বাহিনী নিয়ে আমাদেরকে বাংলাদেশ আসতে দিবে না বলে হুমকি-ধামকি ও ভয় দেখায়। তারপরও আমরা জীবনের মায়া না করে পরিবারের নিরাপত্তার কথা না ভেবে থেমে যায়নি। নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় থাকায় শেষ পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসন, চেয়ারম্যান ও মেম্বার পযর্ন্ত আমাদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে সাবধান করে আসে এবং বলে- তোমাদের ছেলেদের কে বলে দাও ফেইজবুকে শেখ হাসিনা ও সরকারের বিরুদ্বে কিছু না লিখতে। তা না হলে তোমাদের কে এর কঠিন পরিণাম ভোগ করতে হবে। শুধু তাই নয়, আমাদের পরিবার পর্যন্ত গুম করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে এবং সৌদি দূতাবাস থেকেও আমাদের সাবধান করেছে। কিন্তু আমাদের দাবি ছিল সাধারণ ছাত্র জনতার দাবি, যতই বাধা আসুক না কেন, খুনী স্বৈরাচারী হাসিনার পতন ও ছাত্র জনতার বিজয় অর্জন না হাওয়া পযর্ন্ত আমাদের আন্দোলন চলছে চলবে ইনশাআল্লাহ,
শেখ মোজাম্মেল হোসাইন বলেন-দেশের অরাজক পরিবেশ ও পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য এত কিছুর পরও সাহস নিয়ে রাতে আমরা সবাই মিলে পবিত্র কাবায় গিয়ে তাওয়াফ করতাম ও রোযা রাখতাম। দৈনিক ১৫ ঘন্টা কাজ করার পরও রাতে মোবাইল নিয়ে বসে থাকতাম ও বিভিন্ন জনের সাথে যোগাযোগ করতাম। কখন খুনী হাসিনা সরকারের পতনের খবর শুনতে পাব, কখন মুক্তিকামী মানুষের বিজয় হবে এই প্রত্যাশায়। এমনকি লোকমান হাকিম ভাই ও খলিল চৌধুরী ভাই বসে বসে কাঁদতে কাঁদতে বলতেন, হে আল্লাহ! তুমি বাংলাদেশের মুসলমানদের হেফাজত কর,তুমি ছাত্র জনতা কে বিজয় করে দাও। হে আল্লাহ! খুনী হাসিনার ক্ষমতা কে তুমি শেষ করে দাও।সর্বশেষ মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা ছাত্র জনতা কে বিজয় ঘোষণা করেছে। দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা বাক স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি। আগামীতেও কঠিন সময়ে দেশের কল্যাণে সকল প্রবাসীদের এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি এবং ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশকে সমৃদ্ধশালীর করার বিনীত অনুরোধ করছি।