আজ আমার আকাশ ঘন কাল মেঘে ছেয়ে গেছে।বিষয়টি নিঃসঙ্গ এই আমি আমাকে আরো বেশি পুড়িয়ে খাক করে দিচ্ছে অবিরত,অনবরত,প্রতিনিয়ত।
বর্ষার উপলক্ষে কখনো এই যন্ত্রণার উপশম হয় বটে,যেটা অবশ্য আমার ললাটে লেখা নেই।
আর তাইতো অধিক কষ্টে নিঃসঙ্গ একাকী আমি হয়ে গেছি নিরব,নিথর,মৌন এক পাথরের প্রতিমূর্তি।
কেউ জানে না,জানতেও পারবে না কভু,
কোন কারণে আমার জীবনে এহেন কাণ্ড ঘটে চলেছে।কারণ,কেউ তো শুধাইনি কভু,কেউ তো কথা দেয়নি,যে আমারে ঐ সুখের পরশ দিবে, আসবে একটু সু-শীতল ছায়া,শান্তিময় হাওয়া,স্বস্তির বৃষ্টি হয়ে।
তাইতো, হতাশা আর আত্মগ্লাণিকে সাথী করেই বয়ে চলেছি নিদারুণ আর নির্মমতায় ভরা পরাজিত জীবনের কেতন।
আলোর মশাল জ্বালিয়ে কেউ হয়ত আসবে না আলোকবর্তিকা হাতে এই নি:সীম আঁধার দূরীভূত করতে।
আমার শত অপারগতা ও অক্ষমতা সত্ত্বেও আমি তোমার প্রতি সতত সচেষ্ট থাকব।
যদি, তোমার আশার পাখিরা উড়তে ভুলে যায়,
কভু কস্মিণকালে,দিবা-নিশির সন্ধি অথবা বিচ্ছেদের ক্ষণে,মেঘমালাদের একাত্ম হয়ে তোমার গগণের গাঢ় নীল রং কালো তে পরিণত করার প্রাক্কালে,প্রখর রোদ্দুরের অসহনীয় খরতাপ,প্রবল বেগে বয়ে আসা ঝড়,প্রকাণ্ড ভূমিকম্প অথবা ধ্বংসলীলার প্রতীক কোন জলোচ্ছ্বাস এসে যখন তোমার জীবনকে চরম অসহায় ও দুর্বিসহ করে তুলবে নিরুপায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় তুমি মোরে স্মরীয়:
সচেষ্ট থাকব তোমার “স্বপ্ন সারথি” হতে।