লেখক:- দেবিকা রানী হালদার।
————————-
১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশ মার্কিন রোষানলে পড়ে আছে, সে অনুভূতি যেমন মুজিবের ছিলোনা তার কন্যা শেখ হাসিনা ও মনে রাখেন নাই তার দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের কথা! আজ যারা আহম্মকের মত কে ষড়যন্ত্র করেছে তা টর্চ লাইট নিয়ে খুঁজে মাগনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গরম করে তারাদের প্রতি এক রাশ ঘৃণা জমাতে ও ঘৃণা হয়! ক্ষমতায় থাকলে ষড়যন্ত্র যে কেউ করতে পারে তা কোন নতুন কথা না কিন্তু আপনি কতটুকু সতর্ক ছিলেন তা পরিমাপ করুন! গনতস্য শোচনা নাস্তি! আপনার উপদেষ্টা মন্ত্রী সাংসদ উপজেলা চেয়ারম্যান ইউপি চেয়ারম্যান গোয়েন্দা সিআইডি ইনটেলিজেন্স এনএসআই ডিজিএফআইয়ের ঘোড়ার ঘাস কেটেছে আর আজ পতনের পর টর্চের ব্যাটারি শেষ করছে কিছু লোক!
ইরানের শাহ আমেরিকা পালিয়ে যেয়ে আবার ঘুরে দাড়িয়ে দেশে ফিরেছিলেন! যদিও তিনি দ্বিতীয় বার ও গনজাগরণের জোয়ারে চিরতরে ভেসে গেছিলেন আটলান্টিকের ওপারে! কারন, দ্বিতীয় বার ফিরে ও জনগনের ভালোবাসা খোজেন নাই বরং আগের স্টাইলে রাজনীতি চালিয়েছেন!
বর্তমান সরকার প্রায় ব্যর্থ! উপদেষ্টা প্রধান স্বীকার করেছেন, পুলিশ তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসে নাই এবং তার নির্দেশ মানে নাই!
এমন সরকার প্রধানের স্বীকারোক্তির পর তার আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার থাকে না যেমন শেখ হাসিনা দুর্নীতির কথা বলতে যেয়ে বলেছেন, ” আমার পিয়ন ও ৪০০ কোটি টাকার মালিক!” এটা উল্লেখযোগ্য দু’জনের ই সততা পূর্ণ উক্তি কিন্তু ব্যর্থতা প্রমান করে! এমন ব্যর্থতার পর তাদের দেশ পরিচালক থাকার অধিকার থাকে না!
গত বছর ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানি সরকারকে তুলা ধোনা সমালোচনার পর ক্ষমতায় এসে ১৮ হাজার টন (বেনাপোল বর্ডারে ওজন তথ্য) মাছ পাঠানো সরকার ও ক্ষমতায় থাকার অধিকার রাখে না!
ইলিশ দেবো না দিয়েছি, তবে কেন দিলাম তার ব্যাখ্যা, গত সরকার ভারত কে নতজানু নীতিতে দিয়েছে আমরা মমতা দি কে বন্ধুত্বে দিয়েছি! (আসিফ নজরুল)!
৪/৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ লোডশেডিং, ব্যাখ্যা – হবে না, এক পরিবারে বিল্ডিং এ ১৫/১৬ টা এসি লাগানো (আসিফ নজরুল!) মনে হলো ৫ ই আগষ্টের পর সব লাগানো হয়েছে!
১৬ লাখ ভারতের চাকুরী করাদের ধরছেন না কেন, ব্যখ্যা — এ কথা আমি কিন্তু উপদেষ্টা হওয়ার পর বলি নাই (আসিফ নজরুল),
ইনি হচ্ছেন সরকার টিমের সবচেয়ে শিক্ষিত ব্যক্তি যার কথার ভিতর ধোকা মিথ্যাবাদিতা কুয়াশাচ্ছন্নতা ধোয়াশাচ্ছনতা প্রকট! ব্যক্তি চরিত্র না ই বা বললাম! ইনি বাংলাদেশের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক!! এজন্যই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যার আশুতোষ বলেছিলেন, “মুর্খের দেশে আবার বিশ্ববিদ্যালয় কেন?” আশুতোষ ঠিক বলেছিলেন, যে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী কে পিটিয়ে মারা হয় নির্দয়ভাবে আবার মারার দায়িত্ব দলীয় সরকারের মত ছাত্রলীগের ঘাড়ে চাপায় সেই ২১ শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলার জজমিয়া নাটকের মত! আমরা ঔষধ খেতে একজন ছাত্রলীগ খুঁজে পাচ্ছি না আর মৃত্যু কূপ বিশ্ববিদ্যালয় হলে বসে আছে ছাত্রলীগ প্রতিবন্ধী হত্যা করে সেচছায় গ্রেফতার হতে!
একটা ফুলের টোকা সো কল্ড হত্যা কারী ছাত্র লীগ কে দেয় নাই মেধাবি ছাত্র রা যারা নিজ আন্দোলন কারীকে হত্যা করতে পারে আন্দোলন বেগবান করতে!
বাকী উপদেষ্টাদের কথা বলার মত রুচি নাই! বাংলাদেশ বিশ্বের সব দেশের চলয়মান স্পীড ট্রাকে চলয়মান ছিলো, থেমে গেছে দেশ, সব অর্জন শেষ হয়ে যাচ্ছে, এত মেগা প্রজেক্টে বিদেশি বিনিয়োগ চলয়মান ছিলো তারা পূজি প্রত্যাহার শুরু করেছে, সৌদি তেল রিফাইনারি প্রজেক্ট ও কয়েক বিলিয়ন বিনিয়োগ এখন আর শুনি না!
বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরী নাম পরিবর্তন করে পাকিস্তনের জাতিরজনক জিন্নাহ নগরী করো তবু সেই বিনিয়োগ কারী দেশ গুলোকে তাড়িয়ে
দেশ টা কে রসাতলে দিও না! আজ ও জানি না হে মেধাবী হে বিপ্লবী হে নয়া স্বাধীনতা আনায়ন কারী তোমাদের আসল এজেন্ডা কি?
তোমাদের রিমোট নিয়ন্ত্রিত সরকার কোন দেশের পাপেট হয়ে থাকলে ২০০৬ সালের ফখরুদ্দিন মঈনুদ্দিন না হয়ে নির্বাচন দিয়ে জনরোষ থেকে বাঁচো! দেশটা বঙ্গোপসাগরে
ডুবানো যদি এজেন্ডা হয়, পাকিস্তানের মত ৮০০ টাকা কেজি আটার দাম তোলা এজেন্ডা না হলে জনগন প্রশাসনিক প্রটেকশন পেতো! তোমাদের বৈধ ক্ষমতা না থাকায় পার্লামেন্ট না থাকায় কোন পরিবর্তন আনতে পারবে না এবং জনগন তা মেনে ও নিবে না!
গ্যাস বিদ্যুৎ বাজারদর ইলিশ দিয়ে ভারত প্রীতি গার্মেন্টস বন্ধ প্রশাসন হীন দেশ এসব সামাল না দিয়ে শুধু কিছু ভন্ড দিয়ে ফেসবুক টুইটার স্টেটাস দেশ চালানো নয়!