সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৪ অপরাহ্ন

১৬ মাসে কি পেয়েছে ক্ষেতলাল থানা?

Coder Boss
  • Update Time : সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ২৮ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ক্ষেতলাল থানা, দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ছোট জেলা জয়পুরহাট, যার মধ্যে একটি উপজেলা ক্ষেতলাল। জেলায় মোট ৫ টি উপজেলা রয়েছে, কালাই,ক্ষেতলাল,
জয়পুরহাট সদর,আক্কেলপুর, ও পাঁচবিবি। এই জেলায় অসংখ্য সরকারি আমলারা আসে যায়। নিয়তির মতোই এটা তাদের অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। তবে এদের মধ্যে কিছু মানুষ আছে যাদেরকে মনে রাখতে হয়। বলছি ক্ষেতলাল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ওসি আনোয়ার হোসেন এর কথা।।

গত ০৮/০৬/২০২৩ তারিখ অফিসার ইনচার্জ ক্ষেতলাল থানা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। যোগদানের পর থেকে প্রায় ১৬ মাসে সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিবর্গ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের নিকট থেকে যে সহযোগিতা, ভালোবাসা পেয়েছেন সেটি এত তারাতারি কোন অফিসার অর্জন করতে পারেননি।

তবে তিনি হটাৎ সকলের মন খারাপ করে আগামী ০১/১০/২০২৪ ক্ষেতলাল থানায় কর্মকালীন শেষ করবেন।
আনোয়ার হোসেন এর পরবর্তী কর্মস্থল সিআইডি এমটা জানা গেছে। তিনি তার অফিসিয়াল ফেসবুক আইডি তে কিছু কথা লিখেন কথা গুলি যেমন,
আমি কৃতজ্ঞতা জানাই ক্ষেতলাল থানার সাধারণ মানুষ, জনপ্রতিনিধি, ইলেকট্রনিকর্স ও প্রিন্ট মিডিয়া ব্যক্তিবর্গ সর্বোপরি আমার টিমের সহকর্মীদের কাছে আমার পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য।
আমি ও আমার টিম পুলিশের প্রতি সাধারণ জনগনের আস্থা ফিরে আনার আন্তরিকভাবে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।থানায় এসে অসহায় সাহায্যপ্রার্থীরা যেন ন্যায়বিচার পায় সেদিক দিয়ে সর্বোচ্চ পেশাদারীত্বের সহিত দায়িত্ব পালন করেছি।থানার মানুষদের মাদকমুক্ত, অপরাধমুক্ত করতে চেষ্টা করেছি।

আপনাদের সহযোগিতায় দালাল ও তদবিরমুক্ত থানা করতে পেরেছি।আমার লক্ষ্য ছিল সাধারণ মানুষ থানায় সেবা নিতে আসলে কোনো প্রকার হয়রানি ও একটি টাকাও যেন দিতে না হয়।আমি ওসির চেয়ারে বসে তা শতভাগ বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছি। আমার চ্যালেঞ্জ ছিলো ওসির চেয়ারে বসে সততার সহিত দায়িত্ব পালন করা কতটুকু করতে পেরেছি তাঁর বিচার আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম ব্যর্থতার দায় আমার।

আমার কর্মকালীন সময়ে কেউ আমার কথা বা আচরণে কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন ।আমার পরিবারের জন্য সকলে দোয়া করবেন। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে আপনাদের ভালোবাসার কাছে অনেক অনেক ঋনী। আনোয়ার হোসেন ক্ষেতলাল থানার জন্য একটা মডেল, তিনি তার লিখায় যা বলেছেন সেগুলো বাস্তব।।

আনোয়ার হোসেন পরিবর্তন করেছেন সেবার মান, বিগত বছরে দেখা গেছে, সাধারণ ডায়েরি করতে জনসাধারণকে বাহিরের দোকান থেকে টাকার বিনিময়ে টাইপ করে অভিযোগ করতে হত। তবে তিনি সেটি বন্ধ করে সম্পুর্ন ফ্রিতে নিজ থানায় করেছেন।।

এ ছাড়া তিনি সকল প্রকার অন্যায়, দুর্নীতি, মাদকের বিরুদ্ধে শতভাগ একশান করেছেন।। আজ মানুষটিকে বিদায় দিতে হচ্ছে ক্ষেতলাল বাসিকে। তবে এ গল্পের পেছনে আর একজন মানুষ ছিলেন, ক্ষেতলাল থানা তদন্ত অফিসার ইমায়েদুল জাহেদী।। যিদি মানুষ কে কথা বলে বষিকরন করতে যানেন।। সর্বোপরি ক্ষেতলাল থানার উন্নয়নে তদন্ত ওসি ইমায়েদুল জাহেদী,ও অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন ছিলেন পরিবর্তনের এক রূপরেখা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102