স্টাফ রিপোর্টারঃ-
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করার কারণে পাষণ্ড স্বামী তার স্ত্রীকে ঘাড় ও হাত ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়নের চুমুরদী গ্রামের পাষন্ড স্বামী আরিফের বাড়ীতে। আরিফ চুমুদি গ্রামের আবিল শেখের ছেলে।স্ত্রী সোনিয়া আক্তার পার্শ্ববর্তী ঘারুয়া ইউনিয়নের বিবিরকান্দা গ্রামের আব্দুস সালাম শেখের মেয়ে।
পাষণ্ড স্বামী স্ত্রীকে মারধর করে গুরুতর আহত অবস্থায় সোনিয়া আক্তারকে রাতেই ভাঙ্গা হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায়। সোনিয়ার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়৷
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানাযায়, সোনিয়ার সাত বছর আগে পারিবারিকভাবে আরিফের সাথে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। আরিফ তার শশুরের কাছ থেকে যৌতুক নিয়ে মালদ্বীপে যায়। প্রায় পাঁচ বছর মালদ্বীপ থেকে সে দেশে এসে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। পরকীয়ায় বাঁধা দিলে প্রায়ই সে স্ত্রীকে মারধর করতো আরিফ। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে ও থানায় একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়। গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের অনুরোধে পরকীয়া থেকে ফিরে আসবেন বলে মুচলেকা দিয়ে মিমাংসা করেন। কিন্তু চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী।কিছু দিন গেলেই যেই লাউ সেই কদু – আরিফ আগের ন্যায় পরকীয়ায় আসক্ত হয়। বাঁধা দিলেই সে আরো হিংস্র হয়ে ওঠে। গত ১৫ দিন পূর্বে ও থানা থেকে মুচলেকা দিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন আরিফ। গতকাল আরিফ যৌতুকের টাকা চেয়ে না পেয়ে সোনিয়াকে বেদম মারপিট করে ঘাড় মটকে ও হাত ভেঙ্গে দেয়।
এ ঘটনায় ওসি (তদন্ত)মোঃ জুয়েল বলেন, এ বিষয়টি ১৫ দিন আগেও একবার সালিশ করেছি। এলাকার লোকজন ও আরিফ মুচলেকা দিয়ে সোনিয়া কে নিয়ে যায়, যদি আবারো মারধর করে থাকে তাহলে আগে চিকিৎসা করিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমি বর্তমান সরকারি কাজে বাইরে রয়েছি। এদিকে সোনিয়ার স্বামী আরিফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।