আনোয়ার হোসেন আরিফ, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে গরম পানি ঢেলে ভাগ্নির শরীর ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাহনাজ বেগম নামের এক নারীর বিরুদ্ধে। পিকনিক খাওয়া নিয়ে দুই বোনের ঝগড়াঝাটিকে কেন্দ্র করে ভাগ্নির শরীরে গরম পানি ঢেলে দেয় মামী শাহনাজ বেগম।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকেলে উপজেলার বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নের মাহিগন্জ (চৌধুরী বাজার) এলাকায়। শিশু মাওয়া খাতুন ওই এলাকার মজিবর রহমানের কন্যা।
শিশুটি বর্তমানে উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গরম পানিতে ঝলসে যাওয়া ওই শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি (তদন্ত) আজাহার আলী।
ভুক্তভোগীর পিতা মজিবর রহমান বলেন, আমি একজন অসহায় মানুষ আমার মেয়ের শরীরে তার মামী গরম পানি ঢেলে ঝলসে দিয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানায় অভিযোগ করলে আমার মেয়েকে দেখার জন্য মানবিক ওসি (তদন্ত) আজাহার আলী স্যার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে আমার মেয়েকে দেখে তার চিকিৎসার সম্পূর্ণ দ্বায় দ্বায়িত্ব তিনি নিজে নেন। আমরা স্যারের প্রতি মন খুলে দোয়া করি।
এই ঘটনায় দগ্ধ শিশুটির বাবা মজিবর রহমান বাদী হয়ে সোমবার দূপুরে (১৩ মার্চ) থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ওই দিন বিকেলেই অভিযুক্ত শাহনাজ বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আটক শাহনাজ বেগম ওই এলাকার সোলেমান হোসেনের স্ত্রী। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার বিকেলে শিশু মাওয়া ও সীমা খাতুনসহ ওই এলাকার কয়েকজন মিলে তাদের বাড়ির পাশেই পিকনিক খেতে যায়। সেখানে মাওয়া ও সীমা ২ জনের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়। এসময় সীমার মা শাহনাজ বেগম ঘটনাটি জানতে এসে ক্ষিপ্ত হয়ে ডিম সিদ্ধের গরম পানি মাওয়ার শরীরে ঢেলে দেয়। এতে শিশুটির বুকের কিছু অংশ, হাত ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়।
দগ্ধ শিশুটির বাবা মজিবর রহমান বলেন, আমার জায়গা জমি না থাকায় শ্বশুর বাড়িতে থাকি। এজন্য তাদের সাথে আমার প্রায়ই ঝগড়া লাগত। এর জেরেই আমার সমন্ধির বউ শাহনাজ বেগম আমার মেয়ে মাওয়াকে গরম পানি ঢেলে ঝলসে দিয়েছে। আমি ঘটনার দিন বাড়িতে না থাকায় পরে খবর পেয়ে সোমবার (১৩ মার্চ) থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি (তদন্ত) আজাহার আলী জানান, আমি ঘটনাটি জানতে পর তাৎক্ষনিক সেখানে পুলিশ পাঠাই। পরে পুলিশ গিয়ে শাহনাজ বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে আমি শিশু টিকে দেখার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে শিশু টিকে দেখার পর মানবিকতার দিক থেকে আমি তার চিকিৎসার দ্বায়িত্ব নিয়েছি। এবং আটক শাহনাজ বেগমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।