আমির হোসেন,স্টাফ রিপোর্টার::
ভারতের মেঘালয়ের পাদদেশে অবস্থিত সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলার শাহিদাবাদ লাইড়েরগড়,রাজারগাঁও(লাউড়নবগ্রাম) গড়কাটি এলাকায় মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব হযরত শাহ আরেফিন(রঃ) মোকামে ওরশ মোবারক ও হিন্দু সম্প্রদায়ের পণার্তীথ গঙ্গাস্নান বারুণীমেলা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ৮টায় হযরত শাহ আরেফিন(রঃ) মোকাম ও শ্রী শ্রী অদ্বৈত্য জন্মধাম কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটি,ইস্কন মন্দির ও সৎ সঙ্গ মন্দির কমিটির যৌথ উদ্যোগে শহরের শহীদ জগৎজ্যোতি পাঠাগার মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রী শ্রী অদ্বৈত্য জন্মধাম কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল ও হযরত শাহ আরেফিন(রঃ) মোকাম পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি ও বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন স্ব স্ব ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,ইস্কন মন্দির গড়কাটির পরিচালক রাজ শ্যাম গোপাল দাস,সৎ সঙ্গ মন্দির গড়কাটির পরিচালক এনসি রায়,শিক্ষাবিদ যোগেশ্বর দাসসহ দুই ধর্মের অনেক নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
নেতৃবৃন্দরা সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য বলেন,আগামী ১৯ মার্চ হতে ২১ শে মার্চ তিনদিনব্যাপী দুটি ধর্মের লাখো মানুষের অংশগ্রহনে তাহিরপুরের লাউড়েরগড়ের যাদুকাটা নদীতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লাখো লাখো হিন্দু মুসলমান পূর্ণার্থী ও আশিকানদের অংশগ্রহনে গঙ্গাঁস্নান এবং শাহ আরেফিনের মাজারে ওরশ মোবারক অনুষ্ঠিত হবে।
এতে পূণার্থী ও আশেকানদের আসা যাওয়া অংশগ্রহন নিরাপদ ও নিশ্চিত করতে এবং রাস্তাঘাট যানজটমুক্ত রাখতে আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রতিটি সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা চান তারা। তারা বলেন,সুনামগঞ্জ শহরের আব্দুজ জহুর সেতু থেকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কারেন্টের বাজার,ধনপুর বাজার,আনন্দ বাজার,পনার্তীথ,জাঙ্গালহাটি,ঢালারপাড় মেলায় অংশ্রহনে প্রবেশের রাস্তা।
এই রাস্তা দিয়ে আগামী তিনদিন ট্রাক লরিসহ কোন ভারি যানবাহন বন্ধ রাখার দাবী জানান। পাশাপাশি এই দুইধর্মের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব মিলনমেলায় নিরাপদ নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিশ্চিত,সুপিয় পানীয় জলের ব্যবস্থা,নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং মেডিকেল টিমের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন বলে আশ্বস্থ করেন। এদিকে আব্দুজ জহুর সেতু হতে লেগুনা ভাড়া ১৭০টাকা,পলাশ বাজার হতে ১২০টাকা এবং মোটর সাইকেলে জনপ্রতি ২৫০টাকা করে নির্ধারন করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।