শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন

প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পার্টনারদের ভুলে গেলেন ভোলার নাহিদ

Sanu Ahmed
  • Update Time : বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩
  • ৩৭৭ Time View

বিশেষ প্রতিনিধি : তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ফরিদ হাওলাদারের ছেলে নাহিদ হাওলাদার নারায়ণগঞ্জে কসমেটিক এর বড় দোকান দেখিয়ে ০৫/১০/২০২১ তারিখে ব্যবসায়ীক পার্টনারশিপ অংশ হারে চুক্তি করে নারায়ণগঞ্জ এর কসমেটিকস এর দোকান দেখিয়ে নগদ ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা সাকিবুল ইসলাম সজীব,পিতা- মোঃ ইসমাঈল, বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়ন এর ৩নং ওয়ার্ড, এর কাছ থেকে নিয়ে যায়,নাহিদ হাওলাদার, অনেক দিন যাওয়ার পর একই কায়দা ব্যবসায়ীক পার্টনারশিপ বানাবে বলে, হযরত আলী থেকে, তিন লাখ,মহিউদ্দিন থেকে ৫ লাখ ৫০ হাজার,তেলু মিয়া থেকে ৪ লাখ ৫০ হাজার,আবুল হোসেন থেকে ৯ লাখ আরও অনেকের কাছ থেকে এই ভাবে ১ কোটি টাকার ওপর ব্যবসার পার্টনারশিপ বানিয়ে সবার সাথে প্রতারণা করেন এই নাহিদ হাওলাদার।

এছাড়াও নাহিদ বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে নিজেকে বড় ব্যবসায়ী দাবী করে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। বিভিন্ন পণ্যের আকর্ষনীয় টিভিসির মাধ্যমে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করেও সে প্রতারিত করত, এবং এসব আমদানির ক্ষেত্রে অনেক টাকা লাগবে বলে ব্যবসায়িক অংশীদার বানানোর লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়িক অংশীদারের প্রস্তাব দিয়ে তিনি প্রায় শতাধিক মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা ওপর আত্মসাৎ করে।

প্রতারণার কৌশল হিসেবে তার নারায়ণগঞ্জে কসমেটিকস এর দোকান দেখিয়ে একজনের অবর্তমানে আরেক জনকে দেখিয়ে ব্যবসায়ীক পার্টনার বানিয়ে প্রতারণা করতো।এছাড়াও তার বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসা রয়েছে বলে ভূয়া প্রচারণা চালায়। সে বিভিন্ন ব্যক্তিকে কৌশলে প্রলুব্ধ করে ব্যবসায়িক পার্টনার বানানোর নামে বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাৎ করেছে। এছাড়া প্রায় শতাধিক ব্যক্তিকে নানাভাবে প্রতারিত করার বিষয়ে জানা যায়।

সাকিবুল ইসলাম সজীব বলেন- ২০১৯ সালে নারায়ণগঞ্জে তার কসমেটিকস এর দোকান দেখিয়ে পার্টনারশিপ চুক্তি করে আমার কাছ থেকে নগদ ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়, আমার মতো অনেক লোককেই ওই দোকান দেখিয়ে পার্টনারের নামে লাখ লাখ টাকা প্রতারণা করে নিয়ে যায়।পরে আস্তে আস্তে জানতে পারি অনেকের কাছ থেকে ধোঁকা দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, এই ঘটনা সবাই জানার পর নাহিদ হাওলাদার তার দেশের বাড়ী তজুমদ্দিন শম্ভুপুর ৫নং ওয়ার্ডে আত্ম গোপনে থাকে। পরে আমি ব্যবসায়ীক চুক্তি নামা দিয়ে আইনের আশ্রয় নেই। অনেক খোঁজা খুঁজির পর প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে তাকে আটক করি, নাহিদ হাওলাদার আমার পুরো টাকা অস্বীকার করে, পরে অনেক কৌশল অবলম্বন করলে ৪ লাখ টাকার কথা স্বীকার করে। পরে আমি নাহিদ হাওলাদারকে আল্লাহর ঘর মসজিদ সেই মসজিদে গিয়ে কসম করলে আমি বাকী টাকা মাফ করে দিবো, এমন শর্ত দিলে নাহিদ মসজিদে গিয়ে কসম করে,নগদ ৪ লাখ টাকা দিলে বাকী ১১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা তাকে মাফ করে দেই। এছাড়াও সাকিবুল ইসলাম সজীব সবার উদ্দেশ্য বলেন এই প্রতারককে চিনে রাখুন তার ফাঁদে কেউ পা দিবেন না।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102