শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন

“বাংলার সেরা সন্তান ” চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস।

Sanu Ahmed
  • Update Time : শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০২৩
  • ৩১৯ Time View

. “বাংলার সেরা সন্তান ”
চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস।

কথায় বলে আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।
জাতির পিতার স্মরণে আজকের এই লেখা।১৯২০ সালের ১৭ মার্চ অভিজাত এক বংশে শেখ লুৎফর রহমান ও শেখ সায়েরা খাতুনের ঘরে জন্ম নেয় এক ফুটফুটে শিশু।বাবা-মা আদর করে নাম রাখলেন ‘খোকা’। টুঙ্গিপাড়ার একটি বনেদী পরিবারের নাম শেখ পরিবার।টুঙ্গিপাড়ায় এক সাধারণ পরিবারে জন্ম নেওয়া শেখ মুজিবুর রহমান যখন গোপালগঞ্জ মিশন হাইস্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে বিদ্যালয়ের প্রায় প্রতিটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতেন। তিনি বেশি পছন্দ করতেন ইতিহাসের বই।
এসব কারণে প্রধান শিক্ষক গিরিশ চন্দ্র ও সকল শিক্ষকের প্রিয় ছাত্র হয়ে উঠেছিলেন শেখ মুজিব।
শিশুকাল থেকেই শেখ মুজিবুর ছিলেন পরোপকারী এবং অন্যায়ের প্রতিবাদী। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা তুলে ধরেছি আমরা।শিমুল পলাশ হাজারো ফুলে বসন্ত এত রঙিন।পত্র-পল্লব পুষ্প বৃক্ষরাজি শুভক্ষণের তীব্র প্রতিক্ষায়,ফুলের গন্ধে সুরের ছন্দে রঙে বর্ণে প্রকৃতি সাজায়।শুভ জন্মদিন প্রিয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মে তোমার, পেলাম বাংলা স্বাধীন, মোরা নই আজ হেথা কারোর অধীন।
শুভ জন্মদিন প্রিয় নেতা তুমি থাকবে বাঙালির হৃদয়ে, অস্তিত্বে বহমান,শ্রদ্ধাভরে স্মরিব তোমায় শেখ মুজিবুর রহমান। জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুকে শুভেচ্ছা উৎসর্গ করলাম।হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি হে ক্ষণজন্মা নেতা, তোমার জন্যই পেয়েছি মোরা প্রাণের স্বাধীনতা।তুমি না হলে বাংলাদেশ হতোনা হে চিরঞ্জীব নেতা, তাই বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ একই সুতোই গাঁথা।আমরা বাহান্নতে মরেছি দলে দলে, আমরা একাত্তরে মরেছি ঝাঁকে ঝাঁকে,আমরা পঁচাত্তরে মরেছি সপরিবারে।
জাতী আজ স্মরণ করিছে তোমায় বিনম্র শ্রদ্ধায়,
তুমি থাকবে চিরঅমর হয়ে অনিঃশেষ ভালবাসায়।
আমাদের দেশে কি আর এমন শিশুর জন্ম হবেনা।
আমাদের শিশুদের বইয়ের মধ্যে প্রান যুক্ত করে দিয়েছে অভিভাবকরা জিপিএ ৫পাবার জন্য। তাই দেশ প্রেমিক হতে পারছেনা আমাদের শিশুরা।তাই শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দিপুমনি প্রতেক স্কুলে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে আলোচনা ও দেশের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করলে অনেক জ্ঞান অর্জন হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে কোন শিশু স্বপ্ন দেখবে আজ ১০৩ তম জন্মদিনেও। তার মত নীতি নৈতিকতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেনি। আমরা শিক্ষিত সমাজে বসবাস করছি। পত্রিকা অনলাইন নিউজগুলো যখনই পড়ি আমাদের দেশের সমাজে রেপ খুন ঘটে। অনৈতিকভাবে স্বর্ণ অলংকার, বাড়ি গাড়ির গড়ে তোলে‌। দেশের জন্য কাজ করার মত কাউকে পাই না। পড়াশোনা করে বড় হয়ে দেশের উন্নয়ন না করে দেশকে ঠেলে দেয় অন্ধকারের পথে।যারা এই দেশ পরিচালনা করে তারা মাঝে মাঝে সাংবাদিক ভাইরা বিভিন্ন নিউজ করে থাকেন। বিজ্ঞজনেরা দেশ নিয়ে না ভেবে অর্থ পাচার করে বিদেশে অভিজাত বাড়ি তৈরি করেন। এটাই কি দেশ প্রেমিকদের কাজ। আজ মহান দেশ প্রেমিক জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আমার একটাই চাওয়া হে পিতা তুমি আবার জন্ম নিয়ে আমাদের মাঝে জাগ্রত হও। আমরা সোনার বাংলাদেশ গড়ার বাকি কাজ সম্পন্ন করতে চাই।এখন আর গুণীজনদের কথায় বাস্তবতার সাথে মিল থাকে না।যারা লেখা পড়া করেনি তারা ইতিহাস জানবেনা এটাই স্বাভাবিক। তাদের উপর দেশের দ্বায়িত্ব দিলে ভালো কিছু হবেনা।তাই আজকে তার জন্ম দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে শিশুদের সাথে চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস ছবি এঁকে তার সম্পর্কে মনের কথা লিখেছেন। আমরা সেইদিন হব শান্ত যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে বাতাসে
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান অপরিসীম। জন্মদিনের শুভেচ্ছা হে বঙ্গবন্ধু! শুভ হোক, আজ তোমার শুভ জন্মদিন, তোমার চেতনায় গর্জে উঠুক দেশ ও জাতি, তোমাকে জানাই অন্তস্থল থেকে ভালোবাসার সালাম, তোমার কাছে হয়ে আছি জানা-অজানা কত শত ঋণ।তোমার জন্মদিনে আলোকিত হোক বাঙালির প্রতিটি গৃহকোণ।
জন্মদিনে প্রান ভরা আনন্দ করেন। মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় যেমন সহযোগিতার হাত বাড়াতেন-তেমনি কারো প্রতি অন্যায় আচরণ দেখলে প্রতিবাদ করতেন। মাত্র তের বছর বয়সে প্রতিবাদের এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন তিনি। ইতিহাস তুলে ধরলে শেষ হবেনা তাই নবীনদের জন্য ধারনা দেয়ার জন্য সংক্ষেপে লিখলাম। তার কিছু দিনের মধ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এক দল সেনা কর্মকর্তার হাতে নিজ বাসভবনে স্বপরিবারে নিহত হন বঙ্গবন্ধু।তখন শুধুমাত্র তার দুটি কন্যা দেশের বাইরে থাকার জন্য বেঁচে ছিলেন। আজকে তিনি আমাদের সকলের মাথার মনি জননেত্রী শেখ হাসিনা।তার প্রচেষ্টায় দেশের উন্নয়ন বৃদ্ধি হয়েছে
মুক্তিযুদ্ধ রা স্বীকৃতি পেয়েছে এটা অনেক বড় কিছু। আমি প্রধানমন্ত্রীর সুস্থতা কামনা করি জাতির জনকের বাকিটা স্বপ্ন তিনি যেন পূরণ করতে পারে এই জন্য প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন পূরণের জন্য আমাদের সকলের সহযোগিতা করা উচিৎ ।আমি একজন চিত্রশিল্পী সমাজের ভালো মন্দ নিয়েই আমার কাজ তার সম্পর্কে মনের কথা লিখে শেষ করা যাবে না। আমি সব সময় জাতির জনকের আদর্শে পথ চলি।আমি একজন ছবি প্রেমী মানুষ। ছবি আঁকতে ভালোবাসি। জন্মের পর থেকে ভালো মন্দ বোঝার পর ছবি আঁকাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছি। ছবি এঁকে ইতিহাস সম্পর্কে অনেক জানার চেষ্টা করছি। ইতিহাসের অধ্যায়ে খুঁজে খুঁজে একটি মানুষকে ছাড়া কারো জীবনকে নিয়ে গর্ব করার মতো পেলাম না। তাই তার আদর্শে জীবনের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছি। আমার জীবনের সর্বোচ্চ দিয়ে আমি একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করলাম। খুলনা শহরে থাকি বিধায় এটির নামকরণ দেই খুলনা আর্ট একাডেমি।
আমাদের সকলের শ্রদ্ধেয় সংগ্রামী বাঙালীর প্রিয় নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যাঁর নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ।এতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি মনে করি ক্ষণস্থায়ী জীবনে এই দীর্ঘস্থায়ী সময়ে বেঁচে থাকার জন্য শিল্পচর্চা অন্যতম ভূমিকা রাখবে। তাই ছবি আঁকার পাশাপাশি আমি লেখালেখিকে জীবনের সাথে জড়িয়ে নিলাম ।বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কয়েকটি গান লিখেছি ,অসংখ্য কবিতা এবং বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী। গত কয়েক বছর ধরে খুলনার স্থানীয় পত্রিকা গুলোতে আমার লেখা প্রকাশিত হয় ।

তাই লেখার প্রতি আরও আগ্রহ বেড়ে যায়। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে মানুষের কাছে চির অমর হয়ে বেঁচে থাকতে চাই। আমি বঙ্গবন্ধুকে আমার হৃদয়েও স্থান দিয়েছি। তার অসংখ্য ছবি এঁকেছি এখনো প্রতিদিন ছবি আঁকতে বসলে তার ছবিটাই আগে আকি। ছাত্র ছাত্রীদের প্রতিনিয়ত ছবি আঁকার ক্লাস নিয়ে থাকি নাটক ও গান, কবিতা লিখেছি অসংখ্য এবং এই পর্যন্ত ৫০টি তার ছবি এঁকেছি ।তার ছবি এঁকে আমি শিল্পচর্চার জীবন খুঁজে পাই। আমার ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বিভিন্ন অজানা তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করি এবং তাদের ছবি আঁকার জন্য অনুপ্রেরণা যোগাই।আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শে চলার চেষ্টা করব। প্রিয় পাঠক-পাঠিকাদের বলব আপনার সংসারে ছোট ছোট শিশুদের এই দেশের ইতিহাসের গল্প শোনাবেন। তাতে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা জাতির পিতা সম্পর্কে জানতে পারবে এই মাতৃভাষার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তাদের সম্পর্কে জানতে পারবে। কত রক্তের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। ধন্য আমি এমন দেশে জন্মগ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুর মতো আদর্শ নেতার জীবনী লিখতে পেরে। সর্বশেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে সমাপ্ত করলাম।

🙏
🌷 ধন্যবাদান্তে 🌹
চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস

🖋রচনাকালঃ১৬-০৩-২০২৩

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102