আলো প্রতিবেদকঃ
৩০৮,শের-এ-বাংলা রোডে অবস্থিত খুলনা আর্ট একাডেমির সাথে করোনা থেকে অনেক আপনজনদের সাথে সম্পর্কের মধ্যে অনেক দুরত্ব তৈরি হয়ে যায়।আজ বহুদিন পর খুলনা আর্ট একাডেমিতে একজন শুভাকাঙ্ক্ষী উপস্থিত হয়েছেন ঢাকা থেকে। আমাকে না জানিয়ে পৌঁছে গেলেন তার একজন সহকর্মীকে নিয়ে। তিনি হলেন আমাদের সকলের প্রিয় একজন ব্যক্তি মোঃ রেজাউল করিম ভাই। তিনি বর্তমানে পেট্রা কোম্পানির ৩৭ টি জেলার দায়িত্বে আছেন।বহুদিন পরে দেখা হলো ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে। আমরা এই প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ বছর ধরে সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে পরিচালনা করছি। সেই সুনাম শহর থেকে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমও খুলনা বিভাগের সকল প্রতিষ্ঠানের থেকে ব্যতিক্রম। এখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ছবি আঁকা, সঙ্গীত ও আবৃত্তির। এই খুলনা সিটির মধ্যে যারা বাস করেন তারাই বেশি প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন। তবে অন্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে কেন ভিন্ন এই প্রতিষ্ঠান? এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিষয়ে ভর্তি ইচ্ছুকদের কোচিং করানো হয়। সেজন্য খুলনা বিভাগের এবং বিভাগের বাইরের অনেক শিক্ষার্থী ছুটে আসেন তাদের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে। তাই খুলনা বিভাগের প্রত্যেকটি অঞ্চলেই পৌঁছে গিয়েছে খুলনা আর্ট একাডেমির নামটি। কারণ বর্তমানে ২১৬ জন শিক্ষার্থী বাংলাদেশ এবং ভারতের সকল চারুকলায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। তাদের জন্যই আজকে অনেক পরিচিতি লাভ করতে পেরেছি। ইতোমধ্যে সেই শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। আমাদের রং কোম্পানির সাথে একটা সুসম্পর্ক তৈরি হয়। কারন আমাদের চাহিদাগুলো তারাই পূরণ করে। যখন যে ধরনের ইন্সট্রুমেন্ট প্রয়োজন হয় আমরা তাদের কাছে চাহিদা পোষণ করি তারাও আমাদের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের আশা পূরণ করে থাকেন। তাই আজ সকাল ১০ ঘটিকার সময় খুলনা আর্ট একাডেমির নবীন চারু শিল্পীদের ক্লাস পরিদর্শন করেন এবং সবাইকে তাদের কোম্পানির এক বক্স করে রং দিয়ে উৎসাহিত করেন। যাতে করে ভবিষ্যতে ছবি আঁকার প্রতি নবীনদের আরো আগ্রহ তৈরি হয়। এ সময় পেট্রা কোম্পানির মোঃ রেজাউল করিম ভাই নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য আগ্রহ বাড়িয়ে তোলার জন্য অনেক শিক্ষামূলক উপদেশ দেন। এবং খুলনা আর্ট একাডেমি সম্পর্কে অনেক প্রশংসা করেন। তিনি এ কথাও বলেন অন্য কোথাও গেলে এতটা ভালো তার কখনো লাগে না। খুলনা আর্ট একাডেমিতে আসলে তার প্রান ভরে যায়। এমন কথা প্রকাশ করলেন রেজাউল করিম শিক্ষার্থীদের সম্মুখে। এবং চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাসের সম্পর্কে অনেক কথাই বললেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পেট্রা কোম্পানির সানজিদা আক্তার রানী, প্রোডাক্ট প্রোমশন অফিসার। তিনিও খুলনা আর্ট একাডেমিতে এসে অনুভূতি প্রকাশ করলেন এরকম কোন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে এতটা আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে পারিনি। তখন চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাদেরকে ধন্যবাদ জানায়। তখন রেজাউল করিম চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাসকে বলেন আপনার কাছে ছুটে এসেছি একটা বিশেষ দাবি নিয়ে। আমরা একটি নতুন রং বাজার জাত করতে চাচ্ছি। আপনার সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন। আমি সবার সম্মুখে তাদেরকে ওয়াদা করি আমার দ্বারা যদি আপনাদের উপকার হয় অবশ্যই আমি করব। তাৎক্ষণিকভাবে আমাকে একটি কাগজ ও রঙের বক্স হাতে তুলে দেন। তখন আমি জানতে চাইলাম কি ছবি আঁকবো। তখন কোন ছবির কথা নির্ধারণ করে দেয়নি। আমিও পড়ে গেলাম একটি বিপদে। তখন খুলনা আর্ট একাডেমির সহকারি পরিচালক শিলা বিশ্বাস আমাকে জাতীয় ফুল আকার সাজেশন করেন। আমিও ভেবে দেখলাম এটি বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক। সবকিছু ভেবে জাতীয় ফুল আঁকার সিদ্ধান্ত নিলাম। যেহেতু কোন বাধ্যবাধকতা নেই । তাদের নতুন রঙ ছবি আঁকার জন্য কতটা উপযোগী তার গুনাগুন লিখিতভাবে চান। আমি তাদের রংটি ব্যবহার করে যা পেয়েছি বাজারে আসলে আশা করি সবার ভালো লাগবে। অন্যান্য রং কোম্পানির তুলনায় পেট্রা কালার পেন্সিল বেশ সুনাম অর্জন করবে। আমি একজন শিল্পী হিসেবে তাদের এই প্রোডাক্টটি গণমাধ্যমে পৌঁছে যাক এমন প্রত্যাশা করি।তাদেরকে অভিনন্দন জানাই রং পেন্সিল সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সম্মুখে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে এত সুন্দর প্রশংসা করার জন্য। এবং এই নবীনদের হাতে রং পেন্সিল উপহার দিয়ে ছবি আঁকার প্রতি যে আগ্রহ বাড়িয়ে তুলেছেন এজন্য আমি তাদের শিক্ষক হিসেবে অত্যন্ত আনন্দিত। এ সময় যারা উপস্থিত ছিলেন খুলনা আর্ট একাডেমির চারুকলা ভর্তি কোচিং এর ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা জয়া বৈরাগী, শম্পা মুনি, স্মৃতি কণা মন্ডল, ফাল্গুনী সরদার প্রমুখ।গুণী মানুষেরা শিল্পীদের মূল্যায়ন করে। এবং উৎসাহ যোগায় তাই রেজাউল করিম ভাইকে আবারও ধন্যবাদ জানাই খুলনা আর্ট একাডেমির পক্ষ থেকে আমি চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক খুলনা আর্ট একাডেমি৷