ডেস্ক রিপোর্টঃ
যৌন হয়রানিকারী আবু সাঈদ কামালের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মিথ্যা মামলা থেকে দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে আদালতের মাধ্যমে অব্যাহতি পেয়েছেন গাজীপুর সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক মামুন হোসেন।
গত ২ নভেম্বর উভয়পক্ষের বক্তব্য, দীর্ঘ যুক্তিতর্ক শুনানি ও ফরেনসিক রিপোর্ট পর্যালোচনার শ্রবণান্তে ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনাল (৭৫৮/২১) এর বিজ্ঞ বিচারক এ.এম জুলফিকার হায়াত অব্যাহতির এ আদেশ দেন। অভিযোগ সূত্রে, মামুন হোসেন এম.এ. ২০২০ সালের ০১ জুলাই অনলাইন “সাপ্তাহিক সামাল” পত্রিকার “গাজীপুরে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগ” এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করায় এই মামলা দায়ের করেন রাজেন্দ্রপুর বাজারে আর.এন.আর এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধীকারী, রাজাবাড়ী ইউঃ যুবলীগের সাবেক সভাপতি, বর্তমানে গাজীপুর জেলা বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি, নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আ: করিম এর ছেলে আবু সাঈদ কামাল ওরফে এস এ কামাল। তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগ পত্র দিলে মামলাটি অভিযোগ গঠনের জন্য ২০২১ সালের ১২ অক্টোবরে গাজীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রিট আমলী আদালত থেকে ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর হয়। ২০২২ সালের ২ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের ধার্য্য তারিখে উভয় পক্ষের দীর্ঘ যুক্তিতর্ক ও শুনানি পর্যালোচনা শেষে অভিযুক্ত সাংবাদিক কে বিজ্ঞ আদালত মিথ্যা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন। এর আগে মামুনের আইনজীবী মিথ্যা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন।মামুন এর আইনজীবী এডভোকেট আসাদুজ্জামান বাবু জানান, “অভিযোগ গঠনের কোন উপাদান না থাকায় বিজ্ঞ আদালত সাংবাদিক মামুন কে মিথ্যা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট”।তিনি আরো বলেন, মামুনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের ভিত্তি নেই। সম্পূর্ণ আক্রোশের উপর শত্রুতামূলক এই বানোয়াট মামলা দায়ের করেছে। রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ছিলেন ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোঃ নজরুল ইসলাম শামীম।সাংবাদিক মামুন হোসেন এম.এ. জানান, “দলীয় ছত্র-ছায়ায় থেকে যে ব্যক্তি দলকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, তাকে দল থেকে লাথি মেরে বহিষ্কার করা উচিত।”