মিজানুর রহমান বিশ্বম্ভরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
মেয়ের জামাইয়ের হাতে স্বাশুরি আলেয়া খাতুন ( ৪০) খুন হয়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের পুর্বমেরুয়া খলা গ্রামে।গত সোমবার বিকালে পুর্ব সত্রুুতার জেরে ৪ র্থ মেয়ে রুবিনা আক্তারের স্বামী বাহরাম হোসেন তার স্বাশুরিকে তাদের বাড়ির আঙ্গীনায় ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ি চুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্তলে আলেয়া খাতুন মৃত্যুর যন্ত্রনায় চটপট করতে থাকে। তার আত্বচিৎকারে এলাকাবাসী দৌড়ে এসে তাকে উদ্ধার করে বিশ্বম্ভরপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।সরেজমিন ঘুরে জানাযায়, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা ধনপুর ইউনিয়নের পুর্ব মেরুয়াখলা গ্রামের রবি মিয়ার স্ত্রী আলেয়া খাতুন ৫ সন্তানের মা। মৃত আলেয়া খাতুনের ৪ মেয়ে ও এক ছেলের। ৪ জন মেয়ে সন্তান বড়। তাদেরকে বিভিন্ন জায়গায় বিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এক মাত্র ছেলে আল মামুন জার বয়স ( ১২)। প্রথম মেয়ে আলপিনা আক্তার, ২ য় মেয়ে সাবানা আক্তার, ৩ য় মেয়ে সেলিনা আক্তার, ৪ র্থ মেয়ে রুবিনা আক্তার।৪র্থ মেয়ের স্বামী বাহরাম হোসেন প্রায় সব সময় স্ত্রীর সাথে যৌথুক সহ নানা অজুহাতে পারিবারি চাপাচাপি করেই থাকত। এ নিয়ে বেশ দিন যাবৎ স্বশুর এবং স্বাশুড়ির সাথে কথা কাটাকাটি মন মালিন্য প্রায় লেগেই থাকত।যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে বাধ্য করতে না পেরে ঘাতক বাহরাম হোসেন খুনি চড়া হয়ে পরে। ঘটনার দিন স্ত্রীর সাথে স্বশুড় বাড়িতে যৌতুকের জন্য কথা কাটকাটি করে ছলে যায়। পরক্ষণে ফিরে এসে স্বাশুড়ির সাথে টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। স্বাশুড়ি জামাইকে টাকা দিতে অস্বীকার করলে মেয়ের জামাই স্বাশুড়ির প্রতি চরাও হয়ে এলোপাতাড়ি চুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।এ বিষয়ে এলাবাসীর পক্ষে গোল গাও গ্রামের মান্নান বললেন এ হত্যা কান্ডে জরিতদের সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষ দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।এ বিষয়ে বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।এ বিষয়ে ৩ জন আসামিকে আটক করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। সুষ্ঠতদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে মামলা এখনও প্রক্রিয়া দিন রয়েছে।