রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার পূর্বধলায় অপহরণের পর আটকে রেখে কিশোরী শ্যালিকাকে ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।আজ (৩১ মে) বুধবার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়মনসিংহ শহরের কোতোয়ালি মডেল থানা এলাকা থেকে মঙ্গললবার আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ময়মনসিংহ র্যাব ১৪-এর সিনিয়র এএসপি সবুজ রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি আরও জানান, মামলার পর থেকে ওই আসামি জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম-ঠিকানা বদলে (ছদ্মবেশে) ২০ বছর আত্মগোপনে ছিলেন।সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম আ. হামিদ (৪০)। তিনি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার বাড়েঙ্গা গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে।র্যাবের দেওয়া তথ্যসূত্রে জানাযায়, আসামি আ. হামিদ তাঁর কিশোরী শ্যালিকাকে (১৩) গত ২০০৩ সালের আগস্ট মাসে স্কুল থেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে একটি গাড়িতে উঠিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে তিন দিন আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ শেষে শ্যালিকাকে সেখানে আহত অবস্থায় রেখে নিজ বাড়ি পূর্বধলায় ফিরে আসেন।পরে ভুক্তভোগী কিশোরী স্থানীয়দের সহায়তায় পূর্বধলায় নিজ বাড়িতে ফিরে আসে। বাড়ি ফিরে ঐ কিশোরী পরিবারের লোকজনকে তার দুলাভাইয়ের কুকর্মের ঘটনাটি জানায়। ঘটনার বিবরণ শুনে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আ. হামিদ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দায় অবস্থান নেন। সেখানে গিয়ে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে ছদ্মবেশে লুকিয়ে থাকেন।অপরদিকে ওই অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় আ. হামিদকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন ও অপহরণের দায়ে আরও ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।পূর্বধলার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আজ (বুধবার) দুপুরে আ. হামিদকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’