মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু
বিশেষ প্রতিনিধি,
মুঠোফোনে পরিচয় থেকে প্রেম, অতঃপর গনধর্ষণ, ভুট্টাখেত থেকে ধর্ষিতা কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার। কথিত প্রেমিক ও তার দু’জন সহযোগী কর্তৃক গনধর্ষনের ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় লালমনিরহাটের এয়ারপোর্ট এলাকায়। এঘটনায় (ভিকটিম) কলেজ ছাত্রীর বড় বোন রবিবার স্থানিয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, মুঠোফোনে সোহাগ নামে এক যুবকের সাথে পরিচয় হয় উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষে পড়ুয়া (ভিকটিম) ছাত্রীর। সেই পরিচয় থেকে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সোহাগ নামের ঐ যুবক নিজেকে বিমান বাহিনীর সদস্য পরিচয় দেন। এভাবেই তাদের মধ্যে দুই বছর ধরে চলতে থাকে প্রেমের সম্পর্ক (প্রেমালাপ)। তারই ধারাবাহিকতায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করে গত শনিবার বিকেলে এয়ারপোর্টে দেখা করতে কলেজ ছাত্রীকে ডেকে নেয় কথিত প্রমিক সোহাগ। এক পর্যায়ে কলেজ ছাত্রীকে সেখানে ভুট্টা খেতের ভেতর নিয়ে প্রথমে ধর্ষণ করেন কথিত প্রেমিক সোহাগ। তাদের মেলামেশা কালে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সোহাগ এর দু’ বন্ধু ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখতে পান। এক পর্যায়ে কলেজ ছাত্রীকে বন্ধুদের কাছে দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সরে যান সোহাগ। এরপর তার দু’ বন্ধুও পালাক্রমে ঐ কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করার পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। সন্ধা থেকে রাত হওয়ার পর কলেজছাত্রী বাড়ি না ফেরায় তার স্বজনরা কলেজ ছাত্রীর মুঠোফোনে কলদিলে এসময় কলেজ ছাত্রী তাকে বাঁচানোর জন্য আকুতি জানায়। এর পরই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এক পর্যায়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে দ্রুত থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে গুরুতর আহত অবস্থায় ভুট্টা খেতের ভেতর থেকে কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।
এব্যাপারে ”ঠিকানাহীন” কথিত প্রেমিক সোহাগ এর মুঠোফোন নম্বর উল্লেখ করে লালমনিরহাট জেলা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভিকটিম কলেজ ছাত্রীর বড় বোন।
কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এরশাদুল আলম বলেন, পুলিশি জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছে স্থানিয়দের সহযোগীতা নিয়ে ঐ কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়ীতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও জানান তিনি।