স্টাফ রিপোর্টার খুলনা অফিস৷
খুলনা আর্ট একাডেমি ৩০৮, শের-এ-বাংলা রোড খুলনা অবস্থিত প্রতিদিনের মতো ক্লাস শেষ মুহূর্তে একজন ভদ্রলোক প্রবেশ করেন খুলনা আর্ট একাডেমির প্রাঙ্গনে সঙ্গে একজন যুবক ভদ্রলোক ছিলেন। খুলনা আর্ট একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাসের কাছে নিজের পরিচয় দিলে তাদেরকে বসার অনুরোধ জানায় তখন অফিস রুমে বসে খুলনা আর্ট একাডেমির বিভিন্ন কার্যক্রম দেখে তিনি মুগ্ধ হন এবং খুলনা আর্ট একাডেমির সংরক্ষিত বিষয়গুলি ঘুরে ঘুরে দেখে তিনি খুবই আনন্দ প্রকাশ করেন। এত সুন্দর একটি পরিবেশ আপনার এখানে পূর্বে কখনো আসা হয়নি কেন। তখন চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস সেই প্রসঙ্গে অতিথির কাছে ব্যক্ত করেন সময় খুবই অল্প ক্ষণস্থায়ী জীবন নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছি তাই সার্বক্ষণিক সময় নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকি। আমি তেমন কোথাও যাওয়ার সময় পাইনা আর আমি খুবই ক্ষুদ্র একজন মানুষ।গুণীজনদের সঙ্গে মেশার মতো যোগ্যতা আমার নেই। যারা অন্যের বিষয় নিয়ে সমালোচনা করেন এমন গুণীজনদের থেকে আমি দূরে থাকতে পছন্দ করি। নিজের ডিউটির অতিরিক্ত সময় গান, কবিতা শিল্পচর্চা যতটুকু পারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বসে করার চেষ্টা করি। আমার বলার মত তেমন কিছুই নেই ২০০৩ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছি ।২০১০ সাল থেকে চারুকলায় ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের পথনির্দেশিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করি।২১৬ জন শিক্ষার্থী বাংলাদেশ এবং ভারতে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। এটাই আমার সঞ্চয়। বহু গুণের অধিকারী মোঃ ইমরুল কায়েস তিনি অনেক জ্ঞানী অনেক বড় গুণের অধিকারী ব্যক্তি। তাকে নিয়ে বলার বা লেখার কোন দরকার নেই ।যারা সাহিত্যাঙ্গনে আছেন তারা ভালো করেই তাকে চেনেন। তিনি তার কার্যক্রম
সাহিত্য ও পরিকল্পনা ব্যক্ত করেন। সাহিত্য অঙ্গন ছাড়াও তার একটি পরিচয় আছে তিনি একজন শিক্ষক তার সম্পর্কে কিছু তুলে ধরি এখন
মো: ইমরুল কায়েস জন্মগ্রহণ করেন মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার কলাগাছি গ্রামে। স্ত্রী ও একমাত্র পূত্র সন্তান সবাইকে নিয়ে তিনি বর্তমানে খুলনা শহরে বসবাস করছেন। তিনি খুলনাকে ছাত্র জীবন থেকে ভালবাসেন কারণ খুলনার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারী বি এল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। বর্তমানে কর্মজীবন ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর (বি.এড ও এম.এড সহ) ডিগ্রীধারী মো: ইমরুল কায়েস পেশাগত জীবনে একজন কলেজ শিক্ষক। খুলনা সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত ইসলামাবাদ কলেজিয়েট স্কুল খুলনা’র উপাধ্যক্ষ পদে তিনি ২০১১ সাল থেকে অদ্যবধি কর্মরত আছেন। সেই সাথে সাহিত্য চর্চা সাহিত্যাঙ্গনে একজন প্রথিতযশা কবি হিসেবে সুপরিচিত। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত তার মৌলিক গ্রন্থের সংখ্যা ১০(দশ)টি। শিশুতোষ ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, নাটকসহ সাহিত্যের প্রায় সব অঙ্গনেই রয়েছে তার সাবলীল পদচারণা। তার প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ যেমন ভালোবাসার অনাদিনে,আমার যদি থাকতো ডানা,চেতনার ফুল ০৪. গীতি শতদল, এবং শিশুতোষ ছড়াগ্রন্থ ২০২২,ইত্যাদি ।এ ছাড়াও ২০১৭ সাল থেকে নীলকন্ঠ নামক একটি ত্রৈমাসিক সাহিত্য সাময়িকী তিনি সম্পাদনা করে আসছেন। বহুগুনের অধিকারী সংগীত চর্চা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার এর তালিকাভুক্ত একজন খ্যাতিমান গীতিকার। দেশাত্মবোধক, আধুনিক, পল্লীগীতি ও বিষয়ভিত্তিক গান মিলিয়ে তার রচিত গানের সংখ্যা সহস্রাধিক। ইতোমধ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে সম্প্রচারিত ও সুরারোপিত হয়েছে তার চার শতাধিক গান। বই আকারে প্রকাশিত গানের বই ০২টি।ইউটিউবে তার লেখা গান পাওয়া যায় তিনি একটি সাংগঠনিক অঙ্গনে অবধান নবমিতি সাহিত্য পরিষদসহ যে সকল সাহিত্য, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে কবি ইমরুল কায়েস সম্পৃক্ত আছেন।জেলা শিল্পকলা একাডেমি খুলনা
আজীবন সদস্য,শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন এর উপদেষ্টা,বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন,খুলনা শিশু হাসপাতাল।
গীতিকার, নাট্যকার ও স্ক্রিপ্ট রাইটার আজীবন সদস্য,খুলনা কালচারাল সেন্টার এর সম্মানিত
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। দীর্ঘ সময় সংস্কৃতি অঙ্গনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সুন্দর সন্ধ্যা কাটলো সাহিত্য আলোচনার মাধ্যমে চা পান করে। অতিথিরা বিদায় নেন আবারো আসবো খুলনা আর্ট একাডেমিতে।তখন অতিথি এবং তার শিক্ষার্থী দুজনকে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শুভকামনা এবং ধন্যবাদ জানায় চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস।