মোঃ রুমন হোসেন কুষ্টিয়া থেকে৷
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে রাতে ঋনের কিস্তি আদায় করে ফেরার সময় গণ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী এনজিও কর্মী। বুধবার রাতে নন্দলালপুর ইউনিয়নের বুজরুক বাঁখই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষক তিনজনকে রাতেই আটক করেছে কুমারখালী থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, নন্দলালপুর ইউনিয়নের বুজরুক বাঁখই গ্রামের কুদ্দুস শেখের ছেলে রবিন (২১), আবু বক্কারের ছেলে মাসফিকুর রহমান(১৯) ও দুর্গাপুর গ্রামের হান্নানের ছেলে রাসেল (২০)।
ভুক্তভোগী নারী এনজিও কর্মী জানান, সিও নামক এনজিও এর কুমারখালী ব্রাঞ্চে অস্থায়ী ভিত্তিতে ফিল্ড অফিসার হিসাবে তিনি কর্মরত। তার বাড়ি ফরিদপুর জেলার জ্ঞানদিয়া দয়ারামপুর গ্রামে। বুধবার রাত ৮ টার দিকে ভ্যান যোগে মাজগ্রাম থেকে কিস্তি আদায় করে ফেরার সময় বুজরুখ বাঁখই গ্রামে পৌঁছালে ৩/৪ জন যুবক তাকে আটকিয়ে খারাপ আচরণ ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি এনজিও এর ম্যানেজারকে ঘটনাস্থলে আসতে বলেন। ম্যানেজার পৌঁছানোর আগেই বখাটেরা ভ্যান চালক ও তার সাথে থাকা জিল্লুর রহমানকে জোরপূর্বক তাড়িয়ে দিয়ে তাকে পার্শ্ববর্তী পাট ক্ষেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তিনি ম্যানেজারের সহযোগিতায় কুমারখালী থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে সিও এনজিও এর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার রেজওয়ান বিল্লাহ জানান, তিনি ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তাকে উদ্ধার করে কুমারখালী থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
কুমারখালী থানার ওসি মো. আকিবুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে ই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং সারা রাত অভিযান চালিয়ে আসামিদের আটক গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।