ফারহানা আক্তার লিপি,,,,
মহরম মাস আরবি ১২ টি মাসের ১ লা মাস,,এ মাসের ফজিলত অত্যধিক,,,মহান আল্লাহ সম্মানিত চারটি মাসের মধ্যে একটি হচ্ছে মহরম মাস,, মহরম মাসের ১০ তারিখ হচ্ছে পবিত্র আশুরা ,,, আমরা মুসলমানরা এতই বেখবর যে কখন আরবি বছর শেষ হয়ে নতুন আরবি বছর শুরু হয় সেদিকে কোনো ভূক্ষেপ নাই,,, অথচ ইংরেজি বছরের শেষে ডিসেম্বরের রাতে আমাদের তরুন তরুনীরা থার্টি-ফাস্ট নাইট পালন করে যা ইসলামের বিরোধী কাজ,,,আমরা মুসলিম হিসেবে জানা উচিত কোনটি আমাদের জন্য করণীয় কোনটি আমার,, কিন্তুু হায় আফসোস! আমরা সেদিক দিয়ে উদাসিন আমরা নামে মুসলিম কিন্তুু কাজের দিক দিয়ে মুসলিমের পরিচয় পাওয়া যায় না,,,,মহরম মাস শুধু কারবালার প্রান্তের ঘটনার জন্য প্রসিদ্ধ নয়,,, দোয়া কবুলের মাস হিসেবে ও আচ্ছা৷ কেননা অতীতে নবীগনের দোয়া কবুল করা হয়েছে এ মাসে,এ মাসের কিছু ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে এসেছে নবী কারিম (সঃ) ইহুদিদের সাথে ভিন্নতা বজায় রাখতে ২ টি রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন৷৷ মহরমের ৯/১০ তারিখ অথবা ১০/১১ তারিখ রোজা পালন করবে৷ ফরজ নামাজের পর যেমন নফল কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ঠিক রসজান মাসের রোজার পর আশুরার রোজার ব্যাপারে তাগিদ দেওয়া হয়েছে,,,অনেকে বলেন মহরমের ১০ টি রোজা রাখতে হয় তা সম্পূর্ণ ভুল মহরমের নফল রোজা ২ টি ৯/১০ অথবা ১০/১১ তারিখে পালন করবে,,এ রোজা পালনের মাধ্যমে বান্দার বিগত বছরের ছগিরা গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়,,,আমাদের সমাজে মহরম মাসে আশুরার দিন রোজা দোয়া, ইবাদত করাকে বাদ দিয়ে কিন্তু অমুলক নীতি রেওয়াজ পালর করে থাকি,,,আসুন সত্য কে জানি ইসলামকে জানি ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করি,,ইসলামের আলোকে জীবন সাজাই,,আল্লাহর সানিন্ধ লাভের জন্য বেশি বেশি তওবা ইসতেগফার করি,ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড থেকে বিরিয়ে আসি অন্য কেউ সচেতন করি৷