মিজানুর রহমান সুনামগঞ্জ থেকেঃঃ

কেন্দ্রীয় বি এন পির কর্মসুচির অংশ হিসেবে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি উদ্যোগে দমন পীড়ন,মামলা, হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার সকালে সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে অস্তায়ী জেলা বি এন পির কার্যালয় থেকে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন মিলন ও সাধারন সম্পাদক এড. নুরুল ইসলাম নুরুল এর যৌথ নেতৃত্বে একটি বিশাল মিছিল বের হয়ে কালীবাড়ি মোড় এলাকায় আসলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পরে রায়পাড়ার মোড়েই সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিএনপি।

সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলনের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুলের সঞ্চালনায় সমাবেশ বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী,জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাদীর আহমদ,রেজাউল হক,এড.শেরেনুর আলী, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নুর হোসেন,সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম কামরুল,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এড. জিয়াউর রহিম শাহিন,জেলা যুবদল সভাপতি আবুল মনসুর শওকত, সাধারন সম্পাদক মামুনুর রশিদ কয়েছ,সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান রাজু,জেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি সুহেল আহমেদ, জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম পলাশ,জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম ও সদস্য সচিব তারেক মিয়া সহ সহযোগি সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, দেশে একটি অনির্বাচিত অগনতান্ত্রিক সরকার দেশের সাধারন জনগনের ভোটাধিকার হড়ন করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আছে। এই সরকার মানুষের ভোট ছুরি করে ক্ষমতায় এসে লুটপাঠের মহোৎসব শুরু করেছে। দেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা,গনতন্ত্র পূণরুদ্ধার এবং নির্দলীয় নিরপক্ষে তত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্টা করে ক্ষমতা হস্তান্তর ও সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে আগামী সংসদ নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেয়ার দাবি জানানো হয় এই সরকারের কাছে। এই জালিম সরকার বিএনপির শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে হামলা,ভাংচুর,যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের উপর হামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেন নেতারা। সরকার পরিকল্পিতভাবে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিএনপির উপর দায় চাপাতে চায়। অবিলম্বে এই সরকারের পদত্যাগ দাবী করেন অন্যতায় রাজপথে থেকে দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবন না বলে হুশিয়ারী উচ্চারন করেন তারা।