আমেরিকা তুমি শুনে রাখো আজ
বুকের কফিনে রাখি মৃত্যু জায়নামাজ
বাতাসে ছড়ায় লাশের গন্ধ
মুখ বুজে রই যদিও হৃদয়
থাকে না কভুও বন্ধ
হাতের তালুতে নিঃশ্বাস রাখি
বিশ্বাস সৃষ্টিকর্তায়
ফুল হয়ে যারা সুবাস ছড়ায়
সব দোষ তাদেরই ঘাড়ে বর্তায়
জমিনে তোমার নির্গত বিষ
করছে বিলীন ধরার শান্তি
সত্যের হাতে বায়আত আমি
করেছি এবার মানতি
বুকের রক্তে মিসিসিপি নদী
তোমার এসেছে ক্রান্তি
উর্বর ভূমি বাসর সাজায়
রক্তসাগর মাঝে
তোমার চোখের ইশারা পেলেই
যুদ্ধের বাঁশি বাজে
মানবতা আর গণতন্ত্রের নামে
আগ্রাসী মন তোমার শান্ত
পৃথিবী দখলে নামে।
তোমার ছোবলে শান্ত পৃথিবী
হয় অশান্ত
পৃথিবীর গাছ নদী পাখি মাছ
দেখে বিভৎস রূপ তোমার যখন
সাদা কপোতেরা শান্তির বার্তা
পৃথিবীর বিস্তীর্ণ পদে পদে
পৌঁছে দিতে গিয়ে হয়ে যায়
জীবন্ত লাশ
আদিম অধুনা ত্রাস
তুমিই ছড়াতে পারো
তুমি সন্ত্রাস তুমি মহাসন্ত্রাস।
তুমি মানবতা মারো
মুসলিম মারো
ড্রাগনের মতো হিংস্রতা ছাড়ো
বিশ্বের কাছে তোমার মুখোশ খুলেছে অনেক আগেই
পৃথিবীর যত সম্পদ
দুর্নীতি আর কূটনীতি দিয়ে নিয়েছো তোমার ভাগেই
যদি তা না হয় কূটনীতি দিয়ে
শক্তির জোরে যাও তুমি নিয়ে
জানিও অধম তোমার কদম
পিছলে যাবেই যাবে
হৃদয় আমার তোমার পতন
দেখেছে অনেক খাবে।
বুশের ছিলো না হুঁশ
পশুর মতই খুবলে খেয়েছে
রক্ত নামের জুস
সে হিংস্র কাপুরুষ।
বারাক ওবামা তুমি
দুর্বলতার সুযোগ লুফেছো
মেরেছো অনেক লাথি
হিলারির হাতে তাইতো দিয়েছো
আপোসের চোরাবাতি
তাইতো এখন দেশে দেশে শুধু
আঁধারের পর আঁধার
হিলারি আলোক ভাঁড় যেন এক
পুরোটাই যেন ধাঁধাঁর।
শোনো শাহজাদী
নীরবে বসিয়া কাঁদি
তাই বলে তুমি ভেবো নাকো প্রিয়া
একটি বারের জন্য
আমরা অকর্মণ্য।
আমরা ছিলাম সিংহপুরুষ
তোমরাও ছিলে সাথি
হুংকার শুনে পালাত পাষাণ
আজ কই সেই জাতি!
সকাল দুপুর সন্ধা
নিজেরে বানিয়ে বন্ধা
মৃত পায়রার খোপের ভেতর
ঘুমিয়ে কাটাও আজ
সোনালি অতীত গিয়েছো কি ভুলে
যাদের শিয়রে ঈমানের বলে
শোভা পেতো মহাতাজ।
জাগো জাগো মুসলিম
কাটিয়ে সাপের হিম
ঈমানি বলের পসরা দিয়ে
ভাই ও ভগিনি আমার
হলুদিয়া ফুলে স্বপনেরা দোলে
আকাংখা শুধু শহীদি জামার
সাজাও সবার মনদেহ
আল্লার দল আনবে বিজয়
নাই কোন সন্দেহ ।
আমরা ভরি না লোহিত সাগর
জালিমের কাটা শিরে
আমাদের ডাক শান্তির লাগি
যেমন রয়েছে নীড়ে।
আমরাই খুঁজি মানবতা আর
ভালোবাসা দিয়ে অন্যায় করি নির্মূল
জেনে শুনে যদি কেউ করে ভুল
কাবিলের মত দিতে হবে তাকে
ধূলিধূসরিত নাকে
ভুলের মাশুল ।
যাদের মাটিতে বসবাস কর
তাদেরে বানাও ফেলনা
মুসলমানরা হয় না কখনো
কাফেরের হাতে খেলনা ।
তোমার মগজে ঘুরপাক খায়
যবন নিধনে কি হবে উপায়।
শকুন ও শুয়োরের মতো
গড়েছো খামার উঁকুন সেনার
উঁকুনের পেটে ডিম
উষ্ণ নহর এক নিমেষেই
করে দিতে পারো হিম
এ কেমন কথা ওমা
তোমার পেটেই জন্ম নিচ্ছে
পারমাণবিক বোমা।
আমেরিকা দেয় স্পষ্ট মদদ
ইসরাইলের ঘাড়ে
খ্রিস্টান ইহুদির চক্রে পৃথিবী
বমি করে একাধারে।
স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের
চরম ক্ষমতা নাই
মুসলিমরাই দিয়েছিল এই
ইসরাইলকে ঠাঁই।
আজ তারা হায়
কৃতজ্ঞতায়
পারমাণবিক বোমায়
মুসলমানের কলিজার লোভে
পাঠাচ্ছে সব কোমায়
বিশ্বকিলার নিঃস্বকিলার
মুসলমানের রক্তে
শান্তি দিচ্ছে মানবতা নিয়ে
লেখা আছে বুকতক্তে।
যখন তখন চোখ রাঙায়
আকাশ জল ও লোক ডাঙায়
ইরান দেশের দিকে
চোখ করে লিকলিকে
ইরান তোমার বাপ লাগে
বিশ্ববাসীর শাপ লাগে
হোসনে কাবাব শিকে।
আমরা গড়েছি শান্তির ধারা
ভালোবাসা প্রীতি দিয়ে
বিদ্বেষ যত ভুলে গিয়ে আজ যাও
প্রেমের মুকুট নিয়ে।
সকল ধর্মে যত ভালো আছে আমাদের আছে সব
তার বেশি ভালো যা রয়েছে আরো
যা নাই বন্ধু তোমাদের কারো
সেসব রয়েছে আমাদের কাছে দিয়েছেন যিনি রব।
হে দুনিয়ার কচ্ছব
শান্তি দিলেই শান্তি পাওয়া যায়
করা যায় মচ্ছব।
কবিতাটি লিখেছিলাম বেশ কয়েক বছর আগে। বিশ্বেপ্রেক্ষাপট তুলে ধরতে চেষ্টা করেছিলাম। জানি না কতটুকু পেরেছি। কয়েক বছর পরও আমার কাছে মনে হচ্ছে আজও এই কবিতাই লেখা যায়। একটি দীর্ঘ কবিতা।