মিজানুর রহমান, নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের ধামদরদী গ্রামে মৃত বিল্লাল শেখের ছেলে কাওছার শেখ (২৪)এর স্ত্রী সামিরা (১৯) এর মৃত্যুতে নিহতের পরিবারের রয়েছে হত্যার অভিযোগ ।আত্মহত্যা করার খবর পেয়ে ৯ জুন রবিবার সকালে নগরকান্দা থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে সামিরা লাশ মাটিতে নামায় এবং লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে পোস্টমর্টেম করার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেন।
কাওছার শেখ এর বড় ভাবি জাহানারা বলেন, একই ঘরের বারেন্দায় থাকেন কাওছার ও তার বউ সামিরা। ঘরের একপাশে থাকেন আমার শাশুড়ী জিন্না বেগম(৫৫) ও আমি থাকি ঘরের অন্যপাশে।ঘটনার রাতে আমি প্রতিদিনের মতো রাতে খাবার খেয়ে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ি এবং আমার শাশুড়ীও শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। বারেন্দায় কাওছার ও তার স্ত্রী সামিরা ঘুমানো ছিল। সকালে কাওছার চিৎকার দিলে আমরা ঘুম থেকে জেগে দেখি কাওছারের বউ বারেন্দার চালের বাতার সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলে আছে। এছাড়া প্রেমের সম্পর্ক করে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারা স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে টুকটাক ঝগড়া হতো। কাওছার শেখের মা জিন্না বেগম বলেন রাতে কি হয়েছে তা কিছুই জানিনা বাপু।প্রায় চার মাস হয় মোবাইলে সম্পর্ক করে সামিরা কে বিয়ে করে।সামিরার বাবার বাড়ি ভাংগা উপজেলার তারাইল গ্রামে তার পিতার নাম আদম শেখ।সামিরা ছোটবেলা থেকে বড় হয়েছে তার নানা বাড়ি ভাংগা উপজেলার ব্রাহ্মণ কান্দা গ্রামে।
সামিরার খালু সোহাগ মীর বলেন ওরা সামিরাকে মেরে ঝুলিয়ে রাখছে সে আত্মহত্যা করতে পারে না।
এবিষয় নগরকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুর রহমান বলেন, আত্মহত্যার খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনা স্থলে যাই এবং লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পেলে তারপর এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।