খটখটে গ্রীষ্মের তপ্ত উনান নিভে গিয়ে
রজঃস্বলা হয় যুবতী সারী-টিপাইয়ের যোনি
প্রণয়িনী বর্ষায় জলের উচ্ছ্বাস
অগম্যা প্রণয় কাড়ে যাপনের সুখ, স্বপ্ন
পাগলিনী বেনোজলে ফ্যাকাশে হয় স্বপ্নের রঙ
ভাসে মানুষ, মানুষের অস্থাবর সঞ্চয়
আজও শুকোয়নি বিগত চুম্বনের ক্ষত
স্মৃতির খলুইয়ে তড়পায় দুই হাজার বাইশের স্মারক
নচ্ছারিনী বন্যা, তুমি সময়ের পুরীষ খাও, ক্ষান্ত হও
বছর বছর রেখো না তোমার প্রণয়ের স্বাক্ষর
ভাসিও না আর সারী-টিপাইয়ের খলখল ঋতুস্রাবে
আতঙ্কিত মানুষেরে কৃপা করো, বন্ধ্যা হও তুমি
তোমার নৈমিত্তিক স্রাবধারায় আপ্লূত, সন্তুষ্ট প্রাণীকূল
ফি-বছর রজঃধারায় সাঁতরাতে ভালো লাগে কি তাদের!